পেনাংয়ে কনস্যুলার সেবা নিতে দ্বিতীয় দিনেও প্রবাসীদের ভিড়
মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা নিতে দ্বিতীয় দিনেও শত শত প্রবাসী ভিড় জমিয়েছেন। দেশটিতে শনি ও রোববার সরকারি ছুটি থাকায় দূতাবাস কর্মকর্তারা প্রতিটি প্রদেশে কনস্যুলার সেবা দিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার পেনাং রাজ্যের বিশপ স্ট্রিট কনস্যুলার অফিসে ও রোববার বুকিত মারতাজাম অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজে দূতাবাস কনস্যুলার সেবা দিয়ে আসছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় কনস্যুলার সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের উদ্দেশে দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার বলেন, ‘আপনাদের সেবা দিতে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা প্রস্তুত রয়েছেন। যেকোনো সমস্যা আমাদের বলবেন, আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।’
মশিউর রহমান বলেন, ‘কোনোভাবেই দালালদের কাছে যাবেন না। সিরিয়াল অনুযায়ী ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়ন থেকে শুরু করে আপনাদের সবরকম সেবা দিতে চেষ্টা করছি। হাইকমিশনের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রমিকবান্ধব।’
এ দিকে কনস্যুলার সেবা নিতে আসা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি নতুন পাসপোর্টের ফিঙ্গার দিতে। কুয়ালালামপুর দূতাবাসে যেতে হলে আমার খরচ হত শুধু গাড়ি ভাড়া ৫০০ রিঙ্গিত, এখন শুধু ১১৬ রিঙ্গিতে পাসপোর্ট করতে পারছি। প্রতিটি প্রদেশে দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা অব্যাহত থাকায় খরচ কম লাগছে।’
রি-ইস্যু পাসপোর্ট জমা দিতে আসা নিবির হোসাইন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোনো দালাল ছাড়াই ১১৬ রিঙ্গিতের বিনিময়ে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেছি। দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা অব্যাহত থাকলে কেউ দালালের সরণাপন্ন হবে না বলে জানান তারা। সেবার মান যথেষ্ট ভালো লেগেছে।’
দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে কনস্যুলার সেবায় আরও রয়েছেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, অফিস সহকারী সুশান্ত সরকার ও আরিফুল ইসলাম।
বিএ/জেআইএম