কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন কাতার প্রবাসীরা
কাতার প্রবাসীরা কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন। ঠিকমতো থাকার জায়গা নেই। নেই কোনো খাবারের সুষ্ঠু ব্যবস্থা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার কাতার। দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে প্রায় সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি। প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাতারের আইটি, কনস্ট্রাকশন ও বড় ধরনের ব্যবসায় বেশ সফল।
সম্প্রতি কাতার প্রবাসী বকুল জানান, এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজ করতে আসে। সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হয়। গণরুমের জীবন-যাপন আর ভালো লাগে না। মাঝে মধ্যে মোবাইল ও টাকা-পয়সা চুরি হয়। সারাদিন কাজ করে রাতে গাদাগাদি পরিবেশে থাকায় নানা সমস্যায় ভুগছে বাংলাদেশিরা।
তিনি জানান, নিয়োগকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি না থাকায় যত সমস্যা পোহাতে হচ্ছে প্রবাসীদের। কারণ কাতারে বৈধ প্রবাসীর পাশাপাশি অবৈধ প্রবাসীর সংখ্যাও অনেক। কোম্পানিগুলোর হয়রানির কারণে মূলত কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না কেউ।
দূতাবাস বলছে, শ্রমিকদের সঙ্গে কোম্পানির চুক্তিপত্র না থাকায় প্রবাসীরা এ ধরনের সমস্যায় পড়ছে। কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক লিয়াকত আলী জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে আগের তুলনায় কাজ কিছুটা কম। কোম্পানিগুলো আমাদের ঠিকমতো দেখাশুনা করছে না। চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানি আমাদের কাজ দেয় না। থাকা খাওয়ায় সমস্যা নিত্যদিনের সঙ্গী।
কাতার প্রবাসী সেরেগুল বলেন, ‘তিন বছর আগে কাজ করতে আসি কাতারে। আগের তুলনায় এখন খারাপ অবস্থায় আছি। বাসস্থানের অভাবে অনেক প্রবাসী হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে মারা যাচ্ছে। কাতার একটি উষ্ণ অঞ্চল, প্রচণ্ড গরমে এমন পরিবেশে বসবাস করা খুবই কষ্টের। প্রবাসীদের সমস্যার শেষ নেই। সারাদিন হারভাঙা পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু বেতন খুবই কম।’
কাতারে নিম্নমানের বাসস্থানের কারণে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বংলাদেশি প্রবাসীরা। যদি এ সমস্যা দূর করা না হয় তাহলে বাংলাদেশিরা আরও ভালো মানের কাজ করতে পারবে।
এমআরএম/আরআইপি