মিশিগান সেজেছে বৈশাখী রঙে
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটি প্রতি বছরের মত এবারো সেজেছে বৈশাখী রঙে। রাজ্যের লরেন্স টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়।
পহেলা বৈশাখ এবার বেশ জমকালোভাবে পালিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জমায়েতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছিল উৎসবের রঙে রঙ্গিন। সন্ধ্যা ৫টায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু। চিত্রাঙ্গনে পুরস্কার পায় রিদওয়ানা খান, শ্রেয়া হাসান, আতিফ সিদ্দিকী, ফারিন মোমেন, আরিয়ান সিদ্দিকী, রিশান মোমেন, শ্বেতা ও সুমেহরা।
সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠান মঞ্চের পর্দা উঠে। স্থানীয় প্রবাসী শিল্পীদের আয়োজনে ছিল সংগীত, কবিতা আবৃতি, নাটিকা, হাসির যাত্রাপালা, বাচ্চাদের ঋতুভিত্তিক গান ও নৃত্য।
বাংলার ইমেজ বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ও আনন্দ-উৎসবে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলা ফোক নৃত্য প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও আগত বিদেশিদের নজর কারে। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন মারিওল ফারিয়া, সানজিদ বন্যা, এমি ইসলাম, আফ্রিন মাহদী ও নীগার সুলতানা রিম্পি। এছাড়া এমি ইসলামের একক নৃত্য ছিল চোখে পড়ার মত।
ঋতু ভিত্তিক বাচ্চাদের গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু, এতে বাচ্চারা ষড়ঋতু এবং মেঘ-বাদল সেজেছিল। এতে অভিনয় করেন- শ্রেয়া, শ্বেতা, মাহির, ফারিজা, রিদিতা, ফারিন, আলিশা, রাফিদ, রিশান ও আরিশা।
ফারাহ তাসিন ও শারমিন তানিমের উপস্থাপনায় গান পরিবেশন করেন নিলুফার আক্তার নিতু, জাফরি আল কাদরী, ফজলে আহাদ, ফারিয়া তাসনিম, সামিনা আলম, সুরভী বনিক, আকরাম হোসাইন, অভি বিশ্বাস ও শিশু শিল্পী জারা। গিটারে শাকিল, পারকাশনে ড. নাজমুল আনোয়ার। কবিতা আবৃতিতে ছিলেন বন্যা, শিহাব উল্লাহ ও সাইফ সিদ্দিকী।
হাসির যাত্রাপালা ‘মুঘল এ আজম’ প্রবাসীদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়। এতে অভিনয় করেন আমিন সরফুজ্জামান পুলক, দেবাঞ্জন দীপ, ফাহিম আহমেদ, তিশা শাহা, রাজউর রহমান, নাঈম জামালী মিশু, নাঈমা হোসেন এবং আফসানা শাওন।
অনুষ্ঠান শেষ হয় হাসির নাটিকার মাধ্যমে। রাহাত খান রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেন জাহেদ জিয়া, শাহীন, আমিন সরফুজ্জামান পুলক, মেহজাবিন রাহমান তন্বী, দীপ, সুরভি বনিক, মাশফিক রহমান, নাইমা, মিথিলা, সাইফ, ফাহিম প্রমুখ। মঞ্চ সজ্জায় ছিলেন মাশফিক রহমান, আসিফ তানভীর, আবু রাসেল, পুলক, আলোক সজ্জায় মফিজ বাবু।
অনুষ্ঠান শেষে আগত আতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাইদ ফয়সাল, নিলুফা আক্তার নিতু, জাফরি আল কাদরী, রাহাত খান ও সাইফুল সিদ্দিকী।
প্রবাসে কর্মব্যস্ততা ও জীবনসংগ্রামে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। বিদেশি সংস্কৃতির মধ্যে প্রবাসীরা বাঙালি যখন হাবুডুবু খান তখন নিজস্ব শেকড় সন্ধানের মধ্যে কিছুটা আত্মতৃপ্তি খুঁজে ফেরেন তারা। বৈশাখীর অনুষ্ঠান বিদেশে ও নতুন প্রজন্মের কাছে নিজের দেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার বড় মাধ্যম।
এআরএস