কাতারের নতুন শ্রম আইনে হতাশ বাংলাদেশিরা
কাতারে কার্যকর হলো বহুপ্রতিক্ষিত নতুন শ্রম আইন। আইনটি কার্যকর হলেও দেশটির সরকার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় হতাশ হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এ আইনে শ্রমিকদের কোনো সুবিধা না বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মালিক পরিবর্তন করতে সমস্যায় পড়ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে অবশেষে শ্রম আইনে বড় ধরনের সংশোধনী এনে ১৩ ডিসেম্বর কাতারের শ্রমমন্ত্রী ইসা আল নুয়াইমি এই আইন কার্যকরের ঘোষণা দেন। মূলত মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে ও ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা ফিফার কারণে এই আইনটি কার্যকর করে কাতার সরকার।
কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী এস পি সালাউদ্দিন বলেন, ‘কাতার সরকার নতুন শ্রম আইনের তথ্য বিস্তারিত প্রকাশ না করায় মালিক পরিবর্তন করতে বিভিন্ন অফিসে ঘুরে কাজ হচ্ছে না। কাতারের লেবার বোর্ড একবার বলে, যেখানে মালিক পরিবর্তন করবেন, সেখানে নতুন ভিসা লাগবে। আবার বলছে কাতার সরকারের কাছ থেকে নতুন শ্রম আইনের বিস্তারিত কোনো তথ্য আসে নাই।’ আর এই আইন কার্যকরের পর শ্রমিকদের কোনো সুবিধা না বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
চাঁদপুর সমিতি কাতার সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটি নেতা মানিক হোসেন বলেন, ‘নতুন এ আইন কার্যকরের ফলে মালিক পরিবর্তনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের যাতে কোনো রকম দালালের খপ্পরে না পড়তে হয় সেজন্য দূতাবাস ও কমিউনিটিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, এই আইনে বাংলাদেশি শ্রমিক যারা মালিক পরিবর্তন করবেন তাদেরকে সব রকম সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
উল্লেখ্য, নতুন শ্রম আইনে কোনো নিয়োগদাতা যদি কোনো শ্রমিকের পাসপোর্ট নিজের কাছে রাখে তার ১০ হাজার কাতার রিয়াল থেকে ২৫ হাজার কাতার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা হবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, কাতার বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ শ্রমবাজার। নির্মাণ শ্রমিক, গৃহকর্মী, রেস্তোরাঁ, মৎস্যজীবী, ইমামতি, ব্যবসা নিয়ে কাতারে ৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন।
জেডএ/পিআর