অদৃশ্য সংকটে আটকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কাগজে কলমে খুলে গেলেও অদৃশ্য সংকটে আটকে আছে জনশক্তি রফতানি। দেশটির অনেক কোম্পানি শ্রমিকের চাহিদাপত্র ইমিগ্রেশনে এপ্রোভাল করালেও সত্যায়ন করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট দূতাবাস। বৈধভাবে জনশক্তি রফতানি থমকে থাকায় বাস্তবে তেমন কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৯ সালে বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের বন্ধ্যত্ব কাটছে না কিছুতেই। কয়েক বছর ধরে বারবার ঘোষণা দিয়েও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো যাচ্ছে না। প্রথমে ‘জিটুজি’ পদ্ধতি নিয়ে কাজ হলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। পরে গত বছরের জুনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় (বিটুবি পদ্ধতি) কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের দুই মাস পর মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে এসে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী নেয়ার ঘোষণা দেয়। স্বাক্ষর হয় সমঝোতা স্মারক।
কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের পরদিনই মালয়েশিয়া সরকার জানায়, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ থাকবে। এখন সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা শোনা যাচ্ছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ও বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়া দূতাবাসে ৩৪ হাজারেরও বেশি ভিসা আটকে পড়ায় প্রফেশনাল ভিসার ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম অনিশ্চিত। প্রফেশনাল ভিসার ছাড়পত্র ইস্যু বন্ধ থাকায় বিভিন্ন এজেন্সির প্রায় ৩৪ হাজার প্রফেশনাল ভিসা আটকা পড়েছে।
এএইচ/এবিএস