মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার আতঙ্কে অবৈধ অভিবাসীরা
মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সর্বত্র চলছে অভিযান। বাসা, অফিস, কারখানা, মার্কেটে এমনকি বন-জঙ্গলেও চলছে অভিযান। গত চারদিনের সাঁড়াশি অভিযানে বাংলাদেশিসহ সহস্রাধিক আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এদের সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে থাকা অভিবাসীদের রক্ষায় অন্য দেশের দূতাবাসগুলো মাঠে নামলেও বাংলাদেশ দূতাবাস নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ২ আগস্ট পেনাংয়ের একটি বিনোদন কেন্দ্র থেকে ৩৩ জন, পুচং এলাকা থেকে ২০ জন, ৩ আগস্ট রাওয়াং বুকিত বরুনতাং থেকে ১৬ জন, ৪ আগস্ট মেলাকা প্রদেশের তিনটি স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩১ জন। মোট ১০০ জন বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯-এর সেকশন ৬ (১)(সি) ভঙের দায়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাংলাদেশি এ প্রতিবেদককে বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই চলছে ধরপাকড় ও পুলিশের হয়রানি। অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক অবৈধ হয়ে পড়েছেন। ভিসা নবায়ন করে দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো। এমতাবস্থায় লাখ লাখ শ্রমিক অবৈধ হয়ে পড়েছেন।
সম্পতি একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির উপ প্রধান মন্ত্রী আহমাদ জাহিদ জানিয়েছেন, অবৈধ শ্রমিক প্রবেশ ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ও তৎপর রয়েছে।
এদিকে সরকারি-বেসরকারি হিসাবে মালয়েশিয়ায় ২০ লাখেরও বেশি বিদেশি কর্মী বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, দেশটিতে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ইন্দোনেশিয়ার, ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ নেপালের, ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বাংলাদেশের, ৬ দশমিক ৯ শতাংশ মিয়ানমারের, ৫ দশমিক ১ শতাংশ ভারতের, ৩ দশমিক ১ শতাংশ ফিলিপাইনের, ২ দশমিক ৫ শতাংশ পাকিস্তানের, শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থাইল্যান্ডের এবং ৪ শতাংশ শ্রমিক অন্যান্য দেশের।
এএইচ/এমএস