ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

মালয়েশিয়ায় রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:২৫ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৬

মালয়েশিয়ায় রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং হোটেল ইস্তানায় এ জন্মজয়ন্তি উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র ও নজরুলের জীবনী নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ফাস্টসেক্রেটারি (শ্রম) শাহিদা সুলতানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম।
 
শহিদুল ইসলাম বলেন, রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন, উদয় দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে, মোর চিত্তমাঝে, চির-নূতনেরে দিল ডাক। এভাবে চির-নতুনের মধ্যে নিজের আবির্ভাবক্ষণকে অনুভব করেছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চেয়েছেন সূর্যের দীপ্তি দিয়ে ভুবনকে আলোকিত করতে, নিজেকে উন্মোচন করতে। আমৃত্যু কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ধাবমান রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি।

তিনি বলেন, তার কাব্যছন্দ, সুরের ডালা আর সরল লেখনীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রত্যেক বাঙালির। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রেরণা দিয়েছেন আমাদের। মুক্ত স্বদেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ভাষণেই মনে করেছিলেন তাকে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেছিলেন, ‘কবিগুরু, তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে...।’

শহিদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির কবি। নজরুলের রচনা চেতনাকে শাণিত করে। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে যেন নজরুল চর্চা থেমে না থাকে। জাতীয় ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ‘জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রোধে` নজরুলের গান, কবিতা ও প্রবন্ধ আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও অনুপ্রেরণার উৎস।

আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিসেস সাহারা লায়লা, কন্স্যুলার রইছ হাসান সারোয়ার, কউিন্সিলার (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম, কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্জয় কুমার দাস, ফাস্টসেক্রেটারি এসকে শাহীন, তাহমিনা ইয়াসমিন, মোশাররাত জেবীনসহ মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।

আরএস