ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

সংকট থেকে উত্তরণ: নৈতিকতা, সুশাসন ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন

রহমান মৃধা | প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষে আমাদের নিজেদের আচরণ, চিন্তা এবং কর্মের প্রতিফলন। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, ভেজাল খাবার, সামাজিক অশ্লীলতা, ধর্মীয় দ্বৈততা এবং অর্থ পাচারের যে সংকটগুলো দেখা যাচ্ছে, তার মূল কারণ আমাদের নিজেদের মধ্যে নৈতিকতার অভাব। আমরা প্রায়ই দেশের পরিবর্তন, উন্নতি এবং সংস্কারের কথা বলি, কিন্তু কখনো কি আমরা নিজেকে প্রশ্ন করেছি—আমরা নিজেই কি পরিবর্তন হওয়ার চেষ্টা করছি?

যখনই কোনো সমস্যা বা সংকটের কথা উঠছে, তখনই একবাক্যে শোনা যায় ‘সংস্কার’। তবে প্রশ্ন হলো, আমাদের সমাজের সকল সমস্যার মূল যে আমরা—আমরা যদি নিজেদের চরিত্রের পরিবর্তন না করি, তবে আসলেই কি কোনো সংস্কার সম্ভব? সমাজের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয়ের যে ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে, তা শুরু হয় আমাদের নিজেদের মধ্যেই। যখন আমরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনব না, তখন দেশের সকল স্তরের সংস্কার কেবল একটি আকাশকুসুম স্বপ্ন হয়ে থাকবে।

এটি একেবারেই ব্যক্তিগতভাবে না-হয়ে, সমগ্র জাতির জন্য বাস্তব সমস্যার প্রতিকার হিসেবে আসবে, যদি আমাদের প্রতিটি নাগরিক নিজেকে সংশোধন করার পথ অনুসরণ করে।

বাংলাদেশে বর্তমান সমাজের প্রতিটি স্তরে যেসব সংকট এবং সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, সামাজিক অশ্লীলতা, ধর্মীয় ভণ্ডামি, অর্থ পাচার এবং ভোট বিক্রি—এসব বিষয় দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যখন দায়িত্বহীনতা এবং স্বার্থপরতা প্রাধান্য পায়, তখন পুরো জাতির অগ্রগতি সংকটের মধ্যে পড়ে যায়। এই প্রতিবেদনটি সেই সমস্ত সমস্যা এবং তাদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যত এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

১. পারিবারিক সম্পত্তি বিতরণ এবং ভাই-বোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব

বাংলাদেশের অনেক পরিবারে, যেখানে সম্পত্তির সঠিক বণ্টন নেই, সেখানে ভাই-বোনের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব এবং পারিবারিক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। ইসলাম ধর্মের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও, কিছু পরিবারে সম্পত্তি বণ্টন সঠিকভাবে হচ্ছে না, যার ফলে পারিবারিক সমস্যা এবং অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবারে উত্তরাধিকারী নিয়ে সংঘাত এবং বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে, যা সমগ্র সমাজের জন্য ক্ষতিকর। একদিকে পারিবারিক শান্তির অভাব, অন্যদিকে সামাজিক শৃঙ্খলা এবং নৈতিকতার ঘাটতি—এসব বাংলাদেশে সংকটের সৃষ্টি করছে।

২. দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা

বাংলাদেশে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাড়ি, গাড়িসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করেও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুটপাট করছেন। রাজনৈতিক নেতারা, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসা জনগণের ভোটের সঠিক মূল্যায়ন না করে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। এই ধরনের ভোট কেনাবেচা, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে প্রকৃত নেতাদের উত্থান ঘটছে না। দেশের ক্ষমতাসীন দল, প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা দেখা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সামগ্রিক শৃঙ্খলাকে ব্যাহত করছে।

৩. ভোট বিক্রি এবং দেশের ভবিষ্যত বিক্রি

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ভোট বিক্রি। ভোটারের একটি বড় অংশ তাদের ভোট বিক্রি করে দেয়, যার ফলে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে পারে না। বিশেষত, যেসব মানুষ নিজেদের জাতীয় এবং সমাজিক দায়িত্ব পালন করবে, তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন না এবং সস্তা সুবিধার জন্য নিজেদের ভোট বিক্রি করে দেন। এতে দেশের ভবিষ্যত অন্ধকারে চলে যায়, কারণ সৎ ও যোগ্য নেতারা ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেন না এবং দেশের শাসনব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।

৪. ভেজাল খাবার এবং সামাজিক শৃঙ্খলা

বাংলাদেশে ভেজাল খাবার বিক্রি একটি বড় সামাজিক সমস্যা। ব্যবসায়ীরা মুনাফার জন্য ভেজাল খাবার তৈরি করেন, যা মানুষের স্বাস্থ্যকে বিপদগ্রস্ত করে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কম দামে বিক্রির জন্য খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল মেশাচ্ছেন, যা দেশের জনগণের জন্য বিপদজনক হতে পারে। ভেজাল খাবারের কারণে মানুষের জীবনযাত্রার মানে আঘাত আসছে এবং এটি বাংলাদেশের সামাজিক শৃঙ্খলা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলছে।

৫. ধর্মীয় দ্বৈততা এবং ভণ্ডামি

বাংলাদেশে অনেক নারী নিজেদের ধার্মিক ও শালীন প্রমাণ করতে বাহ্যিকভাবে পর্দা বা হিজাব পরিধান করেন, কিন্তু তাদের আচরণ এবং কার্যকলাপে দেখা যায় একটি ভিন্ন চিত্র। তারা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের শুদ্ধতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বাস্তবে তারা অশ্লীল বা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকেন। ধর্মীয় আদর্শ এবং শালীনতার বাহ্যিক চিত্র তুলে ধরলেও, অনেক সময় ভেতরে থেকে সমাজের নিয়ম এবং ধর্মীয় নীতির প্রতি অবমাননা করা হয়। এটা দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় নৈতিকতার বিপরীতে যায়, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

আরও পড়ুন:

রাষ্ট্র সংস্কারে সাংবাদিকতার ভূমিকা

৬. অজ্ঞতা, ভণ্ডামি ও ধর্মের নামে প্রতারণা: পিছিয়ে পড়ার আরেক কারণ

বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণ শুধু দুর্নীতি, অনৈতিকতা বা স্বৈরশাসন নয়; এর পেছনে আরও গভীর একটি সমস্যা রয়েছে—ধর্মের নামে প্রতারণা, অজ্ঞতা ও ভণ্ডামি। লাখো মানুষ ধর্মের শুদ্ধ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কারণ কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের লাভের পথ তৈরি করছে। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে। ফলে শুধু ব্যক্তি নয়, সমগ্র জাতি নৈতিকতা ও ঐক্যের ভিত্তি হারাচ্ছে। এসব জঘন্য অপরাধ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ম কখনো বিভেদ বা প্রতারণার জন্য নয়; এটি মানবতার কল্যাণ এবং শৃঙ্খলার প্রতীক। তাই সমাজে প্রকৃত উন্নয়ন ও ঐক্যের জন্য এ ধরনের প্রতারণা ও ভণ্ডামির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।

৭. অর্থপাচার: দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার

বাংলাদেশে যখন কোটি কোটি মানুষ একবেলা খাবারও ঠিকভাবে জোটাতে পারছে না, তখন কিছু লোক দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। তাদের এই পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ছে। অর্থ পাচারকারীরা বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের সরকারী অর্থকে বিদেশে পাঠিয়ে, নিজেদের সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে দেশের অভ্যন্তরে অর্থের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই ঘটনা প্রকাশিত হলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দেশের অর্থনীতি এক ধরনের ‘বটমলেস বাস্কেট’-এ পরিণত হয়।

৮. দেশের ভাবমূর্তি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সংকট

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের খারাপ চিত্র তুলে ধরছেন। তারা নানা রকমের ভণ্ডামি এবং সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি করছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য বিদেশি এনজিও বা রাজনৈতিক সংস্থাগুলোর সাহায্যে দেশের অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য বিপদজনক।

আজকের বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে এক কথাই বারবার শোনা যাচ্ছে, আর তা হলো ‘সংস্কার’। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি আমাদের দেশের এই অস্থিরতা, দুর্নীতি, ভেজাল, ধর্মীয় ভণ্ডামি, অর্থ পাচার, সামাজিক অবক্ষয়—এই সকল সমস্যার সমাধান না করি, তবে আসলেই কি কোনো সংস্কার সম্ভব? আমাদের সমস্যাগুলোর মূলসূত্র হলো আমাদের দায়িত্ববোধের অভাব। সংস্কার একদিনে আসবে না, কিন্তু যখন দেশের প্রতিটি নাগরিক এই অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাবে, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে নানা সংকটের মূল কারণ হলো, আমরা সমাজের শৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে ত্যাগ করেছি। এসব সংকটের সমাধান আসবে না, যদি না আমরা নিজেদের ভুলগুলো শনাক্ত করি এবং সেগুলোর উপর কাজ করতে শুরু করি। তাই সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হলো—নিজেকে সংশোধন করা, সৎভাবে জীবনযাপন করা, নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করা।

এটা মনে রাখতে হবে যে, সংস্কার একক কোনো ব্যক্তি বা দলের কাজ নয়, এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। যদি আমরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে না পারি, তবে সংস্কার কীভাবে সম্ভব? আসলে, সংস্কারের জন্য একমাত্র পথ হলো সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

দেশের উন্নতি, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং নৈতিকতার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য, আমাদের প্রথমে নিজেদের মধ্যে সংস্কার আনতে হবে। এটা আমাদের দেশের ভবিষ্যতকে আলোয় ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। দেশের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব হলো, সমাজের জন্য সৎ পথে চলা, দুর্নীতি, ভোট বিক্রি, ভেজাল, অর্থ পাচার—এই সমস্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে দাঁড়ানো। এই সমস্ত পরিবর্তন সবার আগে আমাদের নিজেদের মধ্যে শুরু করতে হবে, তারপরই দেশের সংস্কার সম্ভব হবে।

এখনই সময়, যদি আমরা নিজেদের ভুল শুধরাতে না পারি, তবে দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংস্কার হচ্ছে আমাদের দায়িত্ব, এবং একমাত্র সংস্কারই পারে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরি করতে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের এক গভীর ও জটিল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি, ভেজাল খাবার, ভোট বিক্রি, অর্থ পাচার, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, এবং ধর্মীয় দ্বৈততা—এসব সমস্যা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এগুলোর সমাধান করতে হলে, দেশের প্রত্যেক নাগরিক এবং রাজনৈতিক নেতা, বিশেষ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজেদের দায়িত্বপূর্ণভাবে কাজ করতে হবে এবং দেশের উন্নতির জন্য সৎপথে চলার চেষ্টা করতে হবে।

সমাজের প্রতিটি স্তরে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের প্রথমে নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা, নৈতিকতা এবং প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু তাতে নয়, দেশের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একযোগভাবে কাজ করতে হবে। যদি আমরা নিজেদের ভুলগুলো শনাক্ত করে, সমাধানে উদ্যোগ না নিই, তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত আরও অন্ধকারে চলে যাবে।

তাহলে, আমাদের সবার দায়িত্ব হলো, এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একে অপরকে সাহায্য করা, সঠিক পথে চলা এবং নিজেদের সংস্কার করা। এটাই বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য একমাত্র পথ। যদি আমরা নিজেদের ভুলগুলো শনাক্ত করতে এবং সেগুলোর ওপর কাজ করতে না পারি, তবে দেশের অগ্রগতি সম্ভব হবে না। তাই আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনা এবং দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র নিজেকে সংস্কার করেই আমরা দেশের সংস্কার এবং ভবিষ্যতের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারব।

রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)
[email protected]

এমআরএম/এমএস