ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

মালয়েশিয়ায় আর্থিক কেলেঙ্কারি

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন নাজিব, স্বাগত জানালেন আনোয়ার ইব্রাহিম

আহমাদুল কবির | মালয়েশিয়া | প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

মালয়েশিয়ার প্রধান উন্নয়ন তহবিলের বিলিয়ন ডলারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। নাজিব তুন রাজাকের ক্ষমা চাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অর্থ সরানোর ঘটনায় নাজিব বর্তমানে কারাগারে।

২৪ অক্টোবর নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নাজিব রাজাক দাবি করেছেন, এই কেলেঙ্কারি তিনি শুরু করেননি বা এর ‘মাস্টারমাইন্ড’ তিনি নন। লিখিত বিবৃতি কুয়ালালামপুরের আদালত এলাকায় পাঠ করেন তার ছেলে মোহাম্মদ নিজার।

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন নাজিব, স্বাগত জানালেন আনোয়ার ইব্রাহিম

বৃহস্পতিবার নাজিব রাজাকের লিখিত বিবৃতি কুয়ালালামপুরের আদালত এলাকায় পাঠ করেন তার ছেলে মোহাম্মদ নিজার/ছবি- সংগৃহীত

চিঠিতে নাজিব রাজাক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমার তত্ত্বাবধানে মালয়েশিয়ার প্রধান উন্নয়ন তহবিলে (ওয়ানএমডিবি) বিপর্যয় ঘটেছে জেনে প্রতিদিন আমার কষ্ট হয়। এজন্য আমি মালয়েশিয়ার জনগণের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি।’

২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশটির প্রধান উন্নয়ন তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং তাদের সহযোগীরা ছিলেন। সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায় নাজিবের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কমপক্ষে ছয়টি দেশে দুর্নীতির তদন্ত হয়। পরে বিশ্বাস ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মুদ্রাপাচারের অভিযোগে মামলা হয় নাজিবের বিরুদ্ধে।

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন নাজিব, স্বাগত জানালেন আনোয়ার ইব্রাহিম

নাজিব তুন রাজাকের ক্ষমা চাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম/ ছবি- সংগৃহীত

২০২০ সালে মামলার রায়ে নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২১ কোটি রিংগিত জরিমানা করা হয়। পরে মালয়েশিয়ার সাবেক রাজার সভাপতিত্বে একটি ‘ক্ষমা বোর্ড’ এই সাজা অর্ধেক করে দেয়।

পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া ওয়ানএমডিবির দুর্নীতি মামলায় নাজিবকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হবে কি না আগামী বুধবার সিদ্ধান্ত নেবে কুয়ালালামপুরের হাইকোর্ট।

এমআরএম/এমএস