মিশরে ৩০০ ফিলিস্তিনিকে দেওয়া হলো বাংলাদেশিদের উপহার
গাজায় ইসরাইলের আক্রমণে পর হাজারো ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাশের দেশ মিশরে। কেউ এসেছেন পরিবার হারিয়ে কেউবা পরিবারে বেঁচে থাকা অবশিষ্ট সদস্যদের নিয়ে।
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও সাধারণ মানুষ গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সহযোগিতা ও অনুদান নিয়ে।
অনুদানগুলো গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন বাংলাদেশের বেশ কয়টি চ্যারাটি সংস্থা। দেশের সাধারণ মানুষের এবং দেশের বাইরে থেকে প্রবাসীদের দেওয়া এসব অনুদান সঠিকভাবে আমানতদারির সঙ্গে অসহায় ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এসব চ্যারাটি সংস্থা। আর তাদের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এগিয়ে আসছে বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশিদের দেওয়া অনুদানগুলো মিশরে থেকে আল-আজহার চ্যারিটি ফান্ডের মাধ্যমে রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজায় পাঠানোর পাশাপাশি মিশরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মাঝেও বিতরণ করছেন বাংলাদেশিদের দেওয়া অনুদান।
আরও পড়ুন:
গত মঙ্গলবার কায়রোর নাসের সিটি দারুল আকরাম ইসলামি সেন্টারে তিনশত ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে ডেকে এনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ অর্থ, প্রতিটি পরিবারের জন্য অন্তত ১৫দিনের খাবার, শিশুদের খেলনা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন হাফিজি হুজুর সেবা ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান মাওলানা রজীবুল হক মিশরের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চ্যারাটি ফান্ড ওয়ার্ল্ড উম্মাহ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় নিজেই শরণার্থীদের হাতে তুলে দেন এসব অনুদান ও উপহার সামগ্রী।
বাংলাদেশিদের পাঠানো উপহার নিতে আসা বেশ কয়েকজন শরণার্থীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের মধ্যে একজনের নাম মিস রেহাব মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলায় আমার মা-বোনসহ পরিবারের অনেকেই শহীদ হয়েছেন। আমি আমার ৮৫ বছর বয়সী বাবাকে নিয়ে গাজার তূফফা থেকে জর্দান হয়ে কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে কায়রো এসেছি, গাজায় আমার বাড়িঘর সবই ছিল। ইসরায়েলিদের হামলায় আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বেঁচে থাকা আমার পরিবারের সদস্যরা এখন খান ইউনিস আশ্রয় কেন্দ্রের একটি তাঁবুতে কোনো রকমভাবে বেঁচে আছে। আমি তোমাদের দেশের মানুষের পাঠানো সাহায্য নিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এখানে বেঁচে আছি। রিহাব ভিডিও কলের মাধ্যমে খান ইউনিস শিবিরের ঐ তাঁবুতে থাকা তার মায়ের সাথেও কথা বলিয়ে দেন এই প্রতিবেদককে।
এমআরএম/এএসএম