বাংলাদেশ-কুয়েত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে সংবর্ধনা
কুয়েতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ-কুয়েত সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ক্রাউন প্লাজায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
কুয়েতে রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের সদস্য, কুয়েতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তি, বাংলাদেশ সামরিক কন্টিনজেন্টের সদস্য, স্থানীয় প্রেস ও মিডিয়ার সদস্য এবং কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ ৪০০ জনেরও বেশি অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের পরিবার ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী শেখ ফিরাস সৌদ আল মালিক আল সাবাহ।
কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান এবং তার স্ত্রী নাহিদ নিয়াজ শিলু এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও তাদের পত্নীরা অতিথিদের স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ ও কুয়েতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এরপর মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান তার স্বাগত বক্তব্যে প্রধান অতিথি শেখ ফিরাস সৌদ আল মালিক আল সাবাহ ও কুয়েত রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে এবং বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, রাষ্ট্রদূত ও বিশিষ্ট অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে রূপকল্প ২০৪১ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য, অনেক প্রচেষ্টার মধ্যে, বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান সম্ভাবনাময় খাতগুলো হলো গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ নির্মাণ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সিরামিক, চামড়া, কৃষি-ব্যবসা, আইসিটি, জ্বালানি খাত এবং পর্যটন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মো. আশিকুজ্জামান কুয়েত ও বিশ্বের সব বন্ধুপ্রতিম দেশকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির সুবিধা ভাগাভাগি করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রদূত কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য আমির শেখ মেশাল আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ, সরকার ও কুয়েত রাজ্যের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কাউন্সিলর (রাজনৈতিক সচিব) দূতালয় প্রধান মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এমআরএম/এমএস