নিউইয়র্কে শুধু জুমার দিন শব্দ করে আজান দেওয়া যাবে
নিউইয়র্কের মসজিদগুলোতে জুমার নামাজের আগে এবং রমজান মাসে শুধু মাগরিবের সময় অনুমতি সাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট মাত্রায় শব্দ করে আজান দেওয়া যাবে। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ম্যানহাটনের সিটি হলে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটির বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ধর্মীয় নেতা, ইসলামিক সেন্টারের শীর্ষ কর্তা, মেয়র অফিস ও এনওয়াইপিডি কর্মকর্তা, সিনেটর, বোরো প্রেসিডেন্টসহ অনেক জনপ্রতিনিধি।
মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, নিউইয়র্ক সিটি সব ধর্মের মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। প্রতিটি ধর্মের বিশেষ পবিত্র দিন আছে। প্রধান ধর্মগুলোর কেউ শুক্র কেউ শনি কেউ রবি অথবা অন্যান্য দিন। সব ধর্মের প্রতি সম্মানের অংশ হিসেবে মুসলিম সম্প্রদায়কে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আজকের দিনটি তাই মুসলিম কমিউনিটি আমাদের সবার জন্য ঐতিহাসিক।
নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথমবারের মতো মসজিদের বাইরে আজান প্রচার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এনওয়াইপিডি পুলিশ কমিশনার এডওয়ার্ড ক্যাবান বলেন, ২৩০ বছর আগে থেকে এই দেশ ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এই শহর বৈচিত্রের শহর। নিউইয়র্ক সিটি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে বিশ্বাস করে।
প্রতিবেশী অন্যান্য জাতি বর্ণ গোষ্ঠীর সম্মান ও সুবিধার কথা প্রত্যেকে স্মরণ রাখে। প্রতিটি মসজিদ অনুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট শব্দসীমা বজায় রেখে এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে আজান দিতে পারবে। বৈচিত্রতাই শক্তি। আজ আমরা সেটাই উদযাপন করছি।
মেয়রের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে নিউইয়র্ক মজলিশে শূরার স্পেশাল রিপ্রেজেন্টিটিভ ইমাম তালেব আব্দুর রশিদ বলেন, এটা মুসলমানদের জন্য মাইলফলক। নিউইয়র্ক সিটি একটি নিয়মের মধ্যে চলে এখানে হুজুগেই বলা যাবে না দৈনিক পাঁচবার শব্দ করে আজান দেওয়ার কথা।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার বলেন, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের এই ঘোষণায় নিউইয়র্ক সিটি মুসলিম কমিটির দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। এটি মুসলমানদের প্রথম পদক্ষেপ। নিয়মটি সঠিকভাবে মেনে চললে সামনে আরও বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার (২৪ আগস্ট) নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি কমিশনার মার্ক টি স্টিয়ার্ট স্বাক্ষরিত একটি ‘ভুয়া’ বিজ্ঞপ্তি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, নিউইয়র্ক শহরের মসজিদে মসজিদে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত মাইকে শব্দ করে আজান দেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। তা দেখে নানান গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনও করে। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আজান দেওয়ার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে স্পষ্ট করা হয়েছে।
এমআরএম/জেআইএম