আথাবাস্কা ইউনিভার্সিটি
গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হলেন রুপক
প্রবাসী রাসেল রুপক কানাডার আলবার্টার আথাবাস্কা ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর প্রায় পাঁচ হাজার স্টুডেন্ট ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি এই পদে নির্বাচিত হন।
আথাবাস্কা ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন মূলত কানাডা সরকার এবং ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তদারকি, স্কলারশিপ, রিচার্স এবং বারসারী অন্তর্ভুক্ত।
রাসেল রুপক আথাবাসকা ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসাবে বোর্ড অফ গভর্নেন্স এ প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির অধীনে প্রোগ্রাম রিভিউ কমিটিরও সদস্য। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ আথাবাস্কার মাস্টার্স অফ সায়েন্স ইন ইনফর্মেশন সিস্টেম এ অধ্যয়নরত এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ওপরে থিসিস করছেন। এছাড়াও তিনি ক্যালগেরি ফিশ অ্যান্ড গেম অ্যাসোসিয়েশনের ফান্ডরাইজিংয়ের চেয়ার হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
মানবসেবার প্রত্যয়, অদম্য সাহস আর মনোবল নিয়ে ২০০২ সালে উন্নত শিক্ষার জন্য তিনি কানাডার নোভাস্কোশিয়া প্রদেশের কেপ ব্রিটন ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্সে ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রবাসী রাসেল রুপক কমিউনিটির বিভিন্ন সেবা মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ থেকে আগত নতুন আসা ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।
কমিউনিটির অব্যাহত সেবার পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাসেল রুপক নতুন আসা বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি স্কলারশিপ চালু করতে চান।
এক প্রশ্নের জবাবে রাসেল রুপক বলেন, ইচ্ছা শক্তি থাকলে সবই সম্ভব, প্রয়োজন শুধু মনোবলের। জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই, সেই সাথে মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে পরিবার ও দেশের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।
রাসেল রুপক বাংলাদেশের মাদারীপুরের চরমুগরিয়াতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে কানাডার ক্যালগেরিতে বসবাসরত এবং এনার্জি সেক্টরে অয়েল অ্যান্ড গ্যাস টেকনিক্যাল লিড হিসেবে কাজ করছেন।
এমআরএম/জেআইএম