বেলজিয়ামে বৈশাখী উৎসব
বেলজিয়ামে বেলগো বাংলা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় দেশটির লিয়াজের প্রাণকেন্দ্রের জর্জ ট্রুফু হলে উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাইদুর রহমান লিটন। দিনব্যাপী আয়োজনে বৈশাখী সাজে সজ্জিত বাঙালি নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ছোখে পড়ার মতো। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই মগ্ন ছিল উৎসবে। উৎসবে নাচ, কবিতা সবকিছু মিলিয়ে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।
প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে এই উৎসব সবার জীবনে নিয়ে আসে নতুন করে পথচলার উদ্দীপনা। নতুন করে ভালোবাসতে শেখায় দেশকে। দেশটিতে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি শিশুদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান নানা শ্রেণি-পেশার প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর, প্রতীক হাসান ও ফোককন্যা বন্যা তালুকদারসহ স্থানীয় শিল্পীরা। এছাড়া উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করেন, বেলজিয়াম গট ট্যালেন্টখ্যাত নাচের দল ককলস ডুয়োর, প্যারিস থেকে আগত পমপা রায় ও স্থানীয় শিল্পী নেহা দেব ও রিধীকা শীল।
অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা ও আয়োজনে ছিলেন, সাইদুর রহমান লিটন, তপন রায়, চয়ন রায়, শরিফুল ইসলাম মন্জু, হাবিবুল হাসান সোহাগ, মহসিন হোসেন ও জসিম উদ্দিন ও যাদের বিশেষ সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানটি স্বার্থক হয়েছে,
আছাদুর রহমান টিটু, আব্দুল মান্নান, রোমান, রুবেল, বিমল শীল, আশীস শীল, আলম, চন্দন, জামাই মাহবুব ও আশ্রাফ কিটুসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে বেলগো বাংলা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বিধান দেবকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়। তার সহধর্মিণীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা বলেন, বাঙালি প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। প্রতি বছরই বেলজিয়ামে বৈশাখ উদযাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিটি বিশেষ দিনকে উদযাপন করতে কাজ করে যাচ্ছে বেলগো বাংলা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। দেশটিতে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা উৎসবে অংশ নেন।
বেলজিয়ামের ভারভিয়ার্স ও লিয়াজে বসবাসরত স্বপ্নবাজ কয়েক বাংলাদেশি যুবকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বেলগো-বাংলা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন নামে সাংস্কৃতিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে দেশটিতে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি শিশু ও বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে বিভিন্ন ধরনের সাংকৃতিক অনুষ্ঠানের।
এমআরএম/জেআইএম