ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

রাকিব হাসান রাফি | প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৩

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

রোববার সকাল ১০টায় দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করেন।

বিকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয়।

আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, সাংবাদিক, ছাত্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।

আলোচনা পর্বে বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম, পরবর্তীকালে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন।

তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সমাপনী বক্তব্যে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য, প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানে ইফতার মাহফিল ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

এমআরএম/এএসএম