ইতালিতে অভিবাসীদের শোষণের অভিযোগ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে
এক বাংলাদেশি মধ্যস্থতাকারী পিয়াসেঞ্জা প্রদেশের একটি অভিবাসী অভ্যর্থনা কেন্দ্রে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করতেন। তদন্তে অভিবাসীদের শোষণের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
কাজের সূত্রে এসব অভিবাসীর সঙ্গে তার পরিচয় হতো। স্থানীয় পুলিশের এই তদন্তে সহায়তা করেছে প্রদেশের রাষ্ট্রীয় তদন্তকারীরাও।
এই বাংলাদেশি অভিবাসীকে অবিলম্বে উত্তর ইতালি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে বাস করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
যে অভিবাসী কেন্দ্রে তিনি কাজ করতেন, সেখানেই আশ্রয়প্রার্থীদের নানা কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন এই বাংলাদেশি। সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ব্যাপারটিকে কাজে লাগাতেন তিনি। এরপর আশ্রয় আবেদন করা অভিবাসীদের ইতালির বিভিন্ন কৃষিক্ষেতে শোষণমূলক কাজের জন্য পাঠিয়ে দিতেন তিনি।
অপর্যাপ্ত বেতন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা
পুলিশ জানিয়েছে, অভিবাসীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেওয়া হতো। শ্রম আইন অনুযায়ী যে বেতন তাদের দেওয়ার কথা, বাস্তবে তাদের দেওয়া হতো তার চেয়ে অনেক কম বেতন। এই বেতন তাদের কাজের পরিমাণ এবং ধরনের সঙ্গেও মানানসই ছিল না। অনেকক্ষেত্রে তাদের বেতন দেওয়া হতো অনেক দেরিতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারে দেওয়াই হতো না।
এই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য এক বাংলাদেশি এবং দুই মিশরীয় নাগরিকের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি খামারে বসবাসের পরিস্থিতি ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর। থাকার ব্যবস্থা ছিল খুবই নোংরা এবং যে পরিমাণ মানুষ বাস করছিলেন তার তুলনায় অনুপযুক্ত ছিল। ময়লা আবর্জনা ব্যাগের মধ্যে স্তূপ করে দিনের পর দিন রাখা হয়, যাতে ইঁদুরদের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছিল।
পিয়াসেঞ্জা প্রিফেক্ট কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুতই অভিবাসী কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
এমআরএম/এএসএম