লিসবনে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে। পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের অনান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
এরপর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত করে বলেন, দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ যে বিজয় অর্জন করেছিল তা এই দিন পূর্ণতা পেয়েছিল।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের কারাগারে গোপন বিচারের মাধ্যমে তার ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল এবং কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠের সামনেই তার জন্য কবর পর্যন্ত খোড়া হয়েছিল। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন দৃঢ় অবিচল। এই অবিচলতার মূলে ছিল বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
পরিশেষে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণে, বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে অনুসারে স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, সাম্যবাদী এবং রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উপস্থিত সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভাশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
এমআরএম/এমএস