নরওয়ের আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে অ্যাম্বাসেডর হলেন তারিক
তুরস্কে পিএইচডি অধ্যয়নরত বাংলাদেশি মু. তারিকুল ইসলাম নরওয়ের আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালের অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হয়েছেন। আগামী ৯ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ নরওয়ের ট্রন্ডহিম শহরে এই ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশের ৫০০ জন শিক্ষার্থী ফেস্টিভালে যোগদান করবেন। প্রতি বছরে নরওয়ের ট্রন্ডহাইম শহরে এই ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে গত ২০ জুন ২০২২ এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির ফলে তারিক ফেস্টিভালের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হলেন।
২০১৯ সালে ISFiT এর Snow day তে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
এ বিষয়ে তারিক বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক ফেস্টিভালে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশী ও আনন্দিত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভাল। সত্যিই অভিভূত। আমি বিশ্বাস করি, এই ফেস্টিভালটি সারা বিশ্বের সমসাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের জাগিয়ে তুলতে অবদান রাখছে। নিজের কার্যক্রম আরও সমৃদ্ধ করতে এবং শিক্ষার্থীদের আস্থা অটুট রাখবে আশা করি।
২০১৯ সালে ISFiT এর Snow day তে শিক্ষার্থীরা
‘শক্তিশালী, ইনসাফ ও শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণে সারা বিশ্বে লিডারশিপ তৈরিতে ভেস্টিভালটি অবদান রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, ফেস্টিভালের সঙ্গী হয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সমসাময়িক প্রয়োজনীয় বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন এবং সামাজিক শান্তির পথ প্রশস্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব।
অ্যাম্বাসেডর হিসাবে প্রধান দায়িত্ব হলো ফেস্টিভালকে প্রমোট করা। ফেস্টিভালকেন্দ্রিক যাবতীয় কার্যক্রমে নতুন নতুন ধারণা দিয়ে পরিকল্পনায় অংশ নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া ও প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকা।
OIC Int. Intern প্রোগ্রাম শেষ তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ
আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে ২০২৩ সালের থিম ‘মেরুকরণ’ নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। আবেদনের সময় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২১ সালে এটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে আশা করা যাচ্ছে ২০২৩ সালে ফেস্টিভালে আগের মতো বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা সরাসরি অংশ নিতে পারবে।
নরওয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র ফেস্টিভাল ২০১৯ (ISFiT19) এর প্রেসিডেন্ট টিলার স্টুয়ার্ট সাথে তারিক
ট্রন্ডহিম ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফেস্টিভাল বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভাল। এটি ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি এক বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী ১০ দিনের ওয়ার্কশপ (প্রায় ২০টি বিভিন্ন বিষয়), ডিবেট, সংলাপ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সামনে নিজের দেশ ও দেশীয় সংস্কৃতি উপস্থাপন করার সুযোগ রয়েছে।
তুরস্কের নিউ ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত
ফেস্টিভালে সাধ্যমতো বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ ক্রাইসিস সমূহ তুলে ধরা যায়। সারা বিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীদের একটা মিলনমেলায় পরিণত হয়। এই মুহূর্তগুলো শিক্ষার্থীদের জীবনের একটা অংশ হয়ে থাকে। ফেস্টিভালে যোগ দেওয়ার জন্য যাবতীয় খরচ শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থার আলোকে সম্পূর্ণ বা অর্ধ স্কলারশিপ থাকে।
আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন ও ভলান্টারি অর্গানাইজেশনদের থেকে প্রতি এক বছর পরপর একটিকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে থাকে তাদের কার্যক্রর্মের ওপর। পুরস্কারের নাম হলো ‘স্টুডেন্ট শান্তি পুরস্কার’। ২০১৯ সালে তা ২০ বছরে পূর্ণ হয়েছে। এটি শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে।
আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভাল ‘প্রোজেক্ট ডে’ এবং মোমবাতি হাতে ‘শান্তির হাঁটা’ র্যালির আয়োজন করে থাকে। একদিন স্নো ডে থাকে, সত্যিই এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করার মতো। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে আসা ও যাওয়াসহ সর্বমোট ১২ দিন শিক্ষার্থীদের নরওয়ের জনগণের বাসায় তাদের সঙ্গে খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে অনুষ্ঠিত নরওয়ের ট্রন্ডহিম শহরটি ঘুরে দেখতে শিক্ষার্থীদের জন্য যানবাহন ফ্রি করে দেওয়া হয়।
তারিকুল ইসলাম নরওয়ের আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে ২০১৯ সালে অংশগ্রহণ করার জন্য সম্পূর্ণ স্কলারশিপসহ মনোনীত হন। তিনি অংশ নিয়ে এডুকেশন ওয়ার্কশপে ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান’ নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন এবং তিনি ‘মাইগ্রেশন’ এর আলোচনায় ও অংশ নিয়ে রোহিঙ্গা বিষয়ে কথা বলেন।
বিতর্কে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশি ও রাশিয়ান শিক্ষার্থীরা
রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের আন্তরিকতা ও বহির্বিশ্বের কার্যকর্ম তুলে ধরেন। এটিকে সমাধানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আন্তার্জাতিক এ স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে ২০১৯ সালে ১৪২টি দেশের ৫২১ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
ওয়ার্কশপ ও আলোচনা ছাড়াও তারিকুল ইসলাম বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। বিতর্কটি বাংলাদেশি, রাশিয়ান এবং আলজেরিয়ান, ব্রাজিলিয়ান, মঙ্গোলিয়ান শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে: ‘বিদেশে শিক্ষা গ্রহণের পর শিক্ষার্থীরা দেশে ফেরা বা না ফেরা’। রাশিয়ান ও বাংলাদেশি দল ফিরে যাওয়ার পক্ষে বিতর্ক করেদছে এবং জয় লাভ করেছে।
তারিকুল আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে ২০১৯ এর প্রেসিডেন্ট টিলার স্টুয়ার্ট ও আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান নরওয়ের স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গবেষক মিস, ক্রিসটিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ও তুরস্কের স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন এবং তাদের বাংলাদেশ ও তুরস্কে পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ দেন।
তারিকুলকে নরওয়ের আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফেস্টিভালে ২০২১ এর অ্যাম্বাসেডর হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তখন করোনার কারণে অনলাইনে অংশ নিতে হয়। ২০২১ এর থিম ‘ক্রিয়েটিং নলেজ’ নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। তার তখনকার পারদর্শিতা ও সোশ্যাল কার্যক্রমে সোচ্চার দেখে, তারিককে ২০২৩ সালের জন্য আবারও অ্যাম্বাসেডর হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
নরওয়েতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই, তাই তিনি সাধ্যমতো বিশ্বের ৪র্থ ও ইরোপের ২য় এই ধনী দেশের (নরওয়ের) জনগণকে বাংলাদেশ সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। নরওয়েতে রয়েছে নয়নাভিরাম হ্রদ। মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি এসব হ্রদে পাওয়া যায় ইউরোপের সবচেয়ে সুস্বাদু স্যামন মাছ। নরওয়ে এই সুস্বাদু স্যামন বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে রপ্তানি করে থাকে।
বাংলাদেশি তরুণ গবেষক তারিকুল তুরস্কে তুর্কি সরকারি স্কলারশিপে) সোশ্যাল সাইন্সে পিএইচডি করার পাশাপাশি ইস্তাম্বুলের ইসলামিক ইকোনমিক্স গবেষণা কেন্দ্রে গবেষক হিসাবে প্রায় ২ বছর কর্মরত ছিলেন। ‘আন্তর্জাতিক ইন্টার্ন’ (ইন্টার্নশিপ) প্রোগ্রাম তুরস্কের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তুর্কি মাআরিফ ফাউন্ডেশন’ এ শেষ করে তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তুরস্কের নিউ ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের ‘ইয়েনি দুনিয়া ভাকফি’ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হন। তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে ২০ মে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ১৫ মাস দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ফাউন্ডেশনের অর্গানাইজেশন কমিশনে দায়িত্বে রয়েছেন। ‘আমরা নতুন একটি বিশ্ব গড়ার জন্য কাজ করছি’ স্লোগানে এগিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
এছাড়াও বর্তমানে তিনি উস্কুদার ইয়ুথ অ্যাসেম্বলির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে এবং একেপি একে পার্টির ইস্তাম্বুল ইয়ুথ শাখার ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্বরত। তিনি একে পার্টির ইস্তাম্বুল ইয়ুথ শাখার ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের সদস্য মনোনীত হওয়ার পর একে পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুমান কুর্তুলমুশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পিএইচডি গবেষণা ও কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন। একে পার্টির মধ্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের পরই অধ্যাপক ড. নুমান কুর্তুলমুশের স্থান।
তিনি ইস্তাম্বুলের ‘উসকুদার ইয়ুথ অ্যাসেম্বলি’ এর ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের প্রেসিডেন্ট মনোনীত হওয়ার পর উসকুদারের জেলা প্রশাসক, পৌরসভার মেয়র হিলমি তুর্কমেন ভাইস মেয়র ও অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অ্যাসেম্বলির প্রজেক্ট ও কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন।
তিনি ম্যাসিডোনিয়ায় ২৬-২৯ মে ২০২২ এ ব্রিং ইউরোপিয়ান টুগেদার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত চারদিনের মডেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রজেক্টে যোগ দেওয়ার জন্য মনোনীত হয়। প্রোগ্রামে ইউরোপের ইয়ং লিডারদের সঙ্গে সামসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের সংলাপে অংশ নেন। সেখানে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে পারমাণবিক শক্তির বিষয়ে বক্তব্য দেন ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু ইতালিয়ানরা তাদের দেশে গণভোটের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে পারমাণবিক শক্তি হ্রাস এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রচার প্রয়োজন। প্রাকৃতিক গ্যাস ইতালির বর্তমান শক্তি সরবরাহের ৪২ শতাংশ মেরুদণ্ড গঠন করে। এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিং অনুসারে এটি ২০২৬ সালের মধ্যে ৪৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। প্রোগ্রামে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ইয়ং লিডারেরা অংশ নেন।
তিনি ২৬-২৭ মে, ২০২২, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ইয়ুথ সামিট ২০২২-এ যোগ দেওয়ার জন্য মনোনীত হন এবং সামিটে অনলাইনে যোগদান করেন। তিনি ৩-৯ জুলাই ২০২২ পোল্যান্ডের একটি ইউনিভার্সিটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস+প্রোগ্রামের অর্থায়নে সম্পূর্ণ বৃত্তিসহ তরুণ গবেষকদের জন্য আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সামার স্কুলে যোগ দেওয়ার জন্য মনোনীত হন।
এটি ‘সিটিজেনশিপ আন্ডার ফায়ার: ‘প্যাকট্রিজেস অফ সিটিজেনশিপ ইন সেন্ট্রাল ইস্টার্ন ইউরোপ ইন দ্য টাইমস অফ কনফ্ল্টি’ শিরোনামে এক সাপ্তাহের সামার স্কুল ছিল। তিনি সেখানে ‘কমপ্যারিসন অফ ইসলামিক (পার্টিসিপেশন ব্যাংকিং ইন তুর্কি অ্যান্ড বাংলাদেশ)’ বিষয়ে একটি প্রেজন্টেশন করেন। সেমিনারে সামার স্কুলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্কলারগন ও মাস্টার্স এবং পিএইচডির তরুণ গবেষকরা অংশ নেন।
নরওয়েতে তুষারের সাথে তারিকুল ইসলাম
তিনি ৩০-৩১ জুলাই ২০২২ ‘থিঙ্ক টুগেদার’ গ্লোবাল রেজুলেশন সামিট ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন, যা একে পার্টি ইস্তাম্বুল যুব শাখার ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশন আয়োজন করে। তাদের স্লোগান হলো: ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ বিগার দেন ফাইভ’। বিষয়: ১ম সেশন গ্লোবাল ক্লাইমেট ক্রাইসিস, ২য় সেশন গ্লোবাল ইকোনমিক ক্রাইসিস, ৩য় সেশন মানবাধিকার এবং যুদ্ধাপরাধ। তিনি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন।
তিনি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ফেস্টিভাল, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রজেক্ট, সামার স্কুলে অংশগ্রহণ ও প্রবন্ধ উপস্থাপনের লক্ষ্যে নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ভ্যাটিকান সিটি, স্পেন, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরী, বুলগেরিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায়, উত্তর সাইপ্রাস দেশসমূহ ভ্রমণ করেন।
এই গবেষক স্নাতক (বিএ), স্নাতকোত্তর ও এম.ফিলসহ মোট ৩টি থিসিস লেখেন। আন্তর্জাতিক জার্নালে এরই মধ্যে তার বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তার উল্লেখ যোগ্য গবেষণা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া, ইসলামী ব্যাংকিং, ইসলামী অর্থনীতির বিবলিওগ্রাফি।
এগুলো ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রবন্ধ এবং লেখা প্রকাশের পথে রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অনলাইন জগতের প্রথম সারির www.jagonews24.com এ তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। গবেষণার পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থী ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান। মেধাবী তরুণের বাড়ি ফেনী জেলার সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। তিনি সেয়দ ডাক্তার বাড়ির মু. ইলিয়াছ ও জোসনারা বেগমের ২য় ছেলে।
এমআরএম/জেআইএম