ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

জনদুর্ভোগে পর্তুগালের বাড়তি সহায়তা, পাচ্ছেন বাংলাদেশিরাও

আবু সাঈদ | প্রকাশিত: ১০:৪৪ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২২

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে যখন ইউরোর মুদ্রাস্ফীতি শুরু হয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে তখন অভিবাসী ও স্থানীয়রা তাদের পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে শুরু করেন। এছাড়া করোনার কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি, কিংবা স্বল্প আয়ে সংসার চালাচ্ছেন এমন নাগরিক ও প্রবাসীদের অতিরিক্ত সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।

অধ্যাদেশ বলা হয়েছে, সরকারের তিনটি আয়কর নাগরিক ও অভিবাসীদের মধ্যে যাদের মাসিক আয় ২৭০০ ইউরোর নিচে তাদের প্রত্যেককে মাসিক ১২৫ ইউরো করে বাড়তি সহায়তা দেওয়া হবে। যেসব পরিবারে বাচ্চাদের সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা বাবদ যে অর্থ প্রতি মাসে দেওয়া হতো তার সঙ্গে বাবা-মা উভয়ের জন্য ২৫ ইউরো করে বাড়তি সহায়তা যুক্ত হবে।

এছাড়া চাকরি ছেড়ে যারা অবসর ভাতা নিয়েছে তারা বাড়তি সহায়তা হিসেবে সাড়ে ১৪ মাসের অবসর ভাতা গ্রহণ করবে। সরকারের এই বাড়তি সহায়তা চলতি মাসের ২০ তারিখের আগে থেকে প্রতিদিন ৫ লাখ নাগরিক ও বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের নামের তালিকা করা হচ্ছে।

তালিকা তৈরিকরণের কাজ এভাবে ১০ দিন চলমান থাকবে সুতরাং পর্তুগিজ সরকারের বাড়তি সহায়তার তালিকাভুক্ত হবে মোট ৫০ লাখ নাগরিক ও অভিবাসী। তালিকাভুক্ত নাগরিক ও অভিবাসীরা ফিন্যান্স ও সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাকাউন্টে বাড়তি সহায়তার ১২৫ ইউরো এরই মধ্যে পেয়েছেন।

যারা গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে (আইআরএস) বাৎসরিক আয়ের ঘোষণা বা প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন তাদের ফিন্যান্স পোর্টালের মাধ্যমে ইস্যু হচ্ছে। যারা গত বছর আইআরএস জমা দেয়নি তাদের নামে সোশ্যাল সিকিউরিটি পোর্টালের মাধ্যমে ইস্যু হচ্ছে। দেশটিতে বসবাসরত অন্যান্য সকল অভিবাসীদের মতো বাংলাদেশি অভিবাসীরাও সরকারের বাড়তি সহায়তায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।

যারা গত বছর আইআরএস জমা দিয়েছেন তারা ফিনান্সের প্রোফাইলে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১২৫ ইউরো পাবে এবং যারা নতুন অথবা গত বছর আইআরএস জমা দেননি তারা সোশ্যাল সিকিউরিটিতে যুক্ত করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১২৫ ইউরো পাবেন। বাড়তি সহায়তার ১২৫ ইউরো ব্যবহারকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া শুরু হবে ২৪ অক্টোবর থেকে।

কেউ যদি সোশ্যাল সিকিউরিটিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করতে না পারেন, তাহলে বাসার ঠিকানায় চেক পাবে অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাবে।

এমআরএম/জেআইএম