ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

ভিসা প্রতারণা

৬ বছরের অবৈধ প্রবাস জীবন কাটিয়ে মালদ্বীপ থেকে ফিরছেন আমিরুল

মোহাম্মদ মাহামুদুল | মালদ্বীপ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২

কাজের ভিসার (ওয়ার্ক পারমিট) কথা বলে দালাল চক্র ভ্রমণ ভিসায় ২০১৬ সালে মালদ্বীপ পাঠান মো. আমিরুল ইসলামকে। বিদেশ পাঠানোর পরে তাদের দায়িত্ব শেষ! আমিরুল দেশটিতে কাজের সুযোগ পাওয়ার পরেই জানতে পারেন তিনি ভ্রমণ ভিসায় এসেছেন।

এভাবেই অবৈধ হয়ে ৬ বছরের বেশি সময় মালদ্বীপে অবস্থান করেন। ছয় বছর ছন্নছাড়ার মতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকেন। বিভিন্ন সময় নানান সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছেন তিনি। পরিবারের টানে দেশে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় পড়ে বিপাকে। কারণ, তিনি ভ্রমণ ভিসায় দীর্ঘসময় দেশটিতে অবস্থান করেছেন। বহু আগেই তার বিরুদ্ধে মালদ্বীপ ইমিগ্রেশনে অভিযোগ গেছে।

আমিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে যাওয়া আমার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, ভ্রমণ ভিসার একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। আর আমার ভিসার মেয়াদ বহু আগেই চলে গেছে। ফলে আমার বিরুদ্ধে মালদ্বীপের আইন অমান্য করার অভিযোগ জমা পড়ে ইমিগ্রেশন অফিসে।

আমিনুল কোনো কুল-কিনারা না পেয়ে শরণাপন্ন হন মালদ্বীভিয়ান রেড ক্রিসেন্টের। পরে অভিবাসী সহায়তা কেন্দ্র-১৪৫৮ হট লাইনে যোগাযোগ করলে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় এগিয়ে আসে সংগঠনটি।

মালদ্বীভিয়ান রেড ক্রিসেন্টের অভিবাসী সহায়তা কেন্দ্রে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছাসেবী এম, কে, আর কামাল হোসেন বলেন, তার সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি তিনি একটি মানবপাচার চক্রে পড়ে ছয়টি বছর মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামকে দেশে ফিরে যাওয়ার সব কাগজপত্র মালদ্বিভিয়ান রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় ১৪ অক্টোবর তার হাতে দিতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি।

তিনি বলেন, যারাই নতুন করে নিজের পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে দেশের বাইরে কর্মসংস্থানে যোগ দিতে আসবেন তারা অবশ্যই আসার আগে খোঁজখবর নেবেন। আমরা আশা করি মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের মতো আর যেন কেউ মানবপাচারের শিকার না হন।

এমআরএম/জেআইএম