মালয়েশিয়ার ৬৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
মালয়েশিয়ার ৬৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। জাতীয় দিবসে ভোর থেকে মানুষের ঢল নেমেছিল। এবারের স্বাধীনতা দিবসের স্লোগান ছিল, ‘কেলুয়ার্গা মালয়েশিয়া তেগুহ বেরসামা’ (মালয়েশিয়ার পরিবার একত্রে শক্তিশালী) ।
মালয়েশিয়ার ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম গৌরবের দিন এটি। পৃথিবীর মানচিত্রে নিজস্ব ভূখণ্ড নিয়ে মালয় জাতির আত্মপ্রকাশ ঘটে এ দিনে। ১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট ব্রিটিশদের কাছ থেকে রক্তপাতহীন প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা অর্জন করে দেশটি।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা স্কোয়ার দাতারান মারদেকায় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় বৃহৎপরিসরে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৮টায় ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগোং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতউদ্দীন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ এবং রাজা পেরমাইসুরি আগোং তুঙ্কু হাজাহ আজিজাহ আমিনাহ মায়মুনাহ ইস্কান্দারিয়াহ দাতারান মেরদেকাতে জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপনে একটি ঘোড়ায় টানা গাড়িতে পৌঁছলে রাজার আগমনে হাজারো দর্শনার্থীর ‘দৌলত টুয়াংকু’ ধ্বনিতে উল্লাস করে।
প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকব এবং তার স্ত্রী দাতিন সেরি মুহাইনি জয়নাল আবিদিন আসেন সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাতুক সেরি হিশামুদ্দিন হুসেন, পরিবহন মন্ত্রী দাতুক সেরি ডা. উই কা সিয়ং ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
সকাল ৮টা ৯ মিনিটে, ‘নেগারকু’ জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের মূলপর্ব। দেশপ্রেম, ঐক্য ও ঐক্যের চেতনা প্রদর্শনের মাধ্যমে এ বছর বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের প্রায় ২০,০০০ অংশগ্রহণকারী কুচকাওয়াজ এবং মার্চ-পাস্টে জাতিসত্তা, ফ্রন্টলাইনার, গভর্নেন্স, পাবলিক অর্ডার, জাতীয় নিরাপত্তা, মালয়েশিযার উপাদানগুলি প্রদর্শন করে।
এ বছরে স্বাধীনতা দিবসটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে মনে করছেন দেশের জনগণ। কারণ করোনায় গত দুই বছর পর একসঙ্গে ৫০ হাজার দেশি-বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতিতে উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হলো দেশটির ৬৫তম স্বাধীনতা দিবস।
এমআইএইচএস/জেআইএম