মালয়েশিয়ায় বৈধ হওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর
মালয়েশিয়ায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে বৈধ হতে দেশটির সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হচ্ছে আগামী শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর)। সে মোতাবেক অভিবাসীরা বৈধতার জন্য আর মাত্র দুদিন সময় পাচ্ছেন।
এরইমধ্যে বৈধতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জারি করা নোটিশে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ধরতে বড়সড় অভিযান শুরু করবে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি এখনো বৈধ হতে পারেননি। এ বিষয়ে সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার জানিয়েছেন, বৈধতা নেওয়ার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে দেশটির সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরী হামজাহ জায়নুদিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, রিক্যালিব্রেশন প্ল্যান (পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা) নিয়োগকর্তাদের জন্য একটি সুযোগ। যারা অবৈধ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছেন, তাদেরই এই নথিভুক্ত নিশ্চিত কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারও চায় নিয়োগকর্তারা এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুক। কারণ, অবৈধ শ্রমিক থাকলে সমস্যা তৈরি হবে।
বৈধতার মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জাগো নিউজকে বলেন, বৈধতার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য হাইকমিশনের কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অফিসিয়াল অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। এখনো প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালেও বৈধতার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ওইসময় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন বিদেশি কর্মীকেও যেন অনিয়মিতভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করতে না হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
মালয়েশিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়মিতকরণ এবং তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি বৈধতা পেতে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন মো. গোলাম সারোয়ার।
এমকেআর/এমএস