যুক্তরাষ্ট্রের মসজিদগুলোতে জুমাতুল বিদায় করোনামুক্তির প্রার্থনা
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মসজিদে রমজান মাসের শেষ জুমা ‘জুমাতুল বিদা’র নামাজে বিশ্বের শান্তি কামনা ও করোনামুক্তির প্রার্থনা করা হয়েছে। পাশাপাশি জুমার খুতবায় এ পরিস্থিতিতে অসহায় ব্যক্তিদের পাশে সামর্থ্যবানদের সহায়তা প্রদানেরও আহ্বান জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল ও বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, ইলিনয়স, কলারাডো, ডেলাওয়ার, জর্জিয়া, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ও কেন্টাকিসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রায় শতাধিক মসজিদে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মে) জুমা আদায় করতে দুপুর ১২টা থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। অনেক এলাকায় খোলা মাঠে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
এ ছাড়া বিভিন্ন মসজিদে জুমাতুল বিদায় চলে ধর্মীয় বয়ান। কোরাআন ও হাদিসের আলোকে মাহে রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে ইসলামী চিন্তাবিদরা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
যদিও সর্বস্তরে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার কথা থাকলেও লোক সমাগম বেশি হওয়ায় অনেক মসজিদে মানা হয়নি সেই দূরত্ব। তবে অধিকাংশ মুসল্লির মুখে মাস্ক ছিল। এসব মসজিদে ঈদের নামাজের আগেই ফিতরার টাকা পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়।
রমজানমাসজুড়ে রোজা রাখা আর ইবাদত-বন্দেগির অংশ হিসেবে জুমাতুল বিদার দিনে নাজাত প্রার্থনা করেন সবাই। প্রতিটি মসজিদেই বিশ্বের শান্তি ও করোনা থেকে মুক্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। অনেকে নাজাত পেতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। দোয়া করা হয় বছরের বাকি দিনগুলোতে যেন পাপ ও অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকা যায় সেজন্যও।
মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের অন্যদিনের চেয়ে শুক্রবারের মর্যাদা অধিক। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আসা রমজান মাসের শুক্রবারগুলোর মর্যাদা আরও বেশি। বিশেষ করে এই মাসের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একইসঙ্গে এ দিনকে আল কুদস দিবস হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুমাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অথবা শেষ জুমাবারের দিন জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এ মাসের শেষ জুমার দিন পালিত হয় আল কুদস দিবস। তাই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
ইএ/এএসএম