ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালন
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে পরিচালিত বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞকে স্মরণ করে দিনটি পালন করা হয়।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ঐপনিবেশিক শাসন থেকে চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশের স্বাধীনতা লাভের মতো করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের চড়ামূল্যে বাংলাদেশ মুক্তি অর্জন করেছে। তিনি বাংলাদেশের অসংখ্য প্রতিকূলতাকে জয় করে স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি নাগরিকের নিকট পৌঁছে দিতে সকলকে কঠোর পরিশ্রমের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদ এবং ১৯৭১ সালের কালরাতে ও পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে জীবন উৎসর্গকারী ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে ২৫ মার্চ কালরাতে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রজ্বলিত মোম হাতে দূতাবাস চত্বর প্রদক্ষিণ করেন।
কৌশলী ইমা/এএএইচ/জেআইএম