ভোট বেশি বিরোধীদের, সরকার গড়ার পথে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামীরা
স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়ার ২০২১ সালের নির্বাচনে বর্তমানে স্পেনের ক্ষমতাসীন দল স্যোশ্যালিস্ট পার্টি জয়লাভ করেছে। কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাবিরোধী এই স্যোশালিস্ট পার্টি, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বাধীনতাকামী বামপন্থী দল ইআরসির সমান ৩৩ আসন পেয়েও ভোটের সংখ্যায় জয়লাভ করেছে দলটি।
৩৩ আসনের জন্য মোট ৬ লাখ ৪১ হাজার ২৩৮ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছে স্যোশালিস্ট পার্টি এবং সমান সংখ্যক ৩৩ আসন পেয়েও ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে বামপন্থী দল ইআরসি।
১৪ ফেব্রুয়ারি কাতালান সংসদের ১৩৫টি আসনের জন্য মোট ৯টি দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বল্প পরিসরে নির্বাচনী প্রচার ও বিশেষ সতর্কতমূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়।
কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য বছরের থেকে তূলনামূলক কম। মোট সংখ্যার প্রায় অর্ধেকের কিছু বেশি সংখ্যক ৫৩.৫৬ শতাংশ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
ভোটে স্বাধীনতাবিরোধী দলের বিজয় হলেও নির্বাচনে কোয়ালিশন গঠনের প্রশ্নে এগিয়ে আছে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থীরা। সরকার গঠনের জন্য ১৩৫ আসনের মধ্যে কমপক্ষে প্রয়োজন ৬৮ আসন। এক্ষেত্রে স্বাধীনতাপন্থীরা বিজয় পেয়েছে ৭৪ আসনে এবং ৬১ আসন পেয়েছে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলো।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থী সবচেয়ে আলোচিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা কার্লোস পুজেমনের দল জুনসকাত ৩২ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। দলটি নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল থেকে মাত্র এক আসন কম পেয়েছে।
কাতালোনিয়া অঙ্গরাজ্যের মোট তিনটি প্রদেশের মধ্যে রাজধানী বার্সেলোনায় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্যোশালিস্ট পার্টি, খিরোনা ও লেলিদা তে জয় পেয়েছে জুনসকাত এবং তাররাগোনাতে জয়ী হয়েছে বামপন্থী এসকেরা রিপাবলিকানা ইআরসি।
নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে ডানপন্থী দল ভক্স। প্রথমবারের মতো ১১ আসনের জয় নিয়ে দলটি চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ভরাডুবি হয়েছে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাবিরোধী দল সিউদাদানোসের। গত ২০১৭ সালের নির্বাচনে ৩৬ আসন পেয়ে জয়লাভ করা এই দলটি ৩০ আসন হারিয়ে, পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন।
কোনো দলই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য কমপক্ষে ৬৮ আসনের জন্য আলোচনা চলছে দলগুলোর মধ্যে। এর মধ্যে কোয়ালিশন সরকার গঠনে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামী দলগুলোর মধ্যে আদর্শগত মিল ও সমঝোতার কারণে বরাবরের মতো এবারও সরকার গঠন করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এমআরএম/জেআইএম