আকামার মেয়াদ থাকলে কুয়েতে ঢুকতে বাধা নেই
নিজ দেশে ছুটিতে এসে আটকা পড়া প্রবাসীরা আকামার মেয়াদ থাকলে কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) কুয়েতের স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ দেশের নাগরিকরা ৩৪ দেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশ হয়ে কুয়েত প্রবেশে কোনো বাধা নেই। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর সেই দেশ থেকে পিসিআর সনদ নিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে তারা। একই দৈনিকের অন্য সংস্করণে উল্লেখ করে, গত ১০০ দিনে এক লাখ ৯২ হাজার প্রবাসী কুয়েতে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ওই নিষিদ্ধ দেশগুলোর নাগরিক যারা দুবাই ও ইস্তাম্বুলে ১৪ দিন থাকার পর কুয়েতে প্রবেশ করেছে।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুয়েত প্রবাসী মহসিন পারভেজ ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাইয়ে ১৪ দিন থাকার পর কুয়েতে ঢুকেছেন।
ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশীরা কেমন আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে মিশর, ভারত ও পাকিস্তানের অনেক নাগরিক ভিজিট ভিসায় দুবাই হয়ে কুয়েতে ঢুকেছে। কিন্তু আমরা বাঙালিরা লোকের মুখে ঝুঁকি ও দুই থেকে তিন লাখ টাকার কথা শুনে বিশ্বাস ও আস্থার সংকটের কারণে আসতে চাইনি। এখন অনেক বাঙালি ভিজিট ভিসায় দুবাই হয়ে কুয়েতে পৌঁছেছে আবার অনেকই দুবাইয়ে আছে। অন্য দেশের তুলনায় দ্বিগুণ টাকা খরচ হয় বাংলাদেশীদের। অনেক সময় বাংলাদেশে বিমানবন্দরগুলোতে ভিজিট ভিসার যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তবে দুবাই, কুয়েতের কোনো বিমানবন্দরে এমন ঝামেলা নেই।’
দুবাইয়ে আসার সময় পিসিআর, পাসপোর্ট, সিভিল আইডি, টিকেট এগুলো সাথে রাখতে হয়। যারা দেশে থাকাকালীন অনলাইনে আকামা নবায়ন করেছে তারা অনলাইন থেকে সিভিল আইডির কপি প্রিন্ট করে অথবা দুবাইয়ে কুয়েত দূতাবাসে ১০০ দিরহাম দিলে তারা প্রিন্ট কপি সত্যায়িত করে দেয়।
কুয়েত বিমানবন্দরে একটি ফরমে বাসার ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য পূরণ করার পর মোবাইলে শ্লোনিক নামে একটা অ্যাপস চালু করতে হয়। এরপর ১৪ দিন বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় সকলের। এই অ্যাপসের মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়।
এআরএ/এমএস