নিষ্প্রাণ ঈদ মালয়েশিয়া প্রবাসীদের
জীবন-জীবিকা, আনন্দ-দুঃখ, জন্ম-মৃত্যু সবখানেই এখন করোনার ধাক্কা। এ ভাইরাসের কারণে মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। ব্যতিক্রম নয় তাই ঈদের মতো উৎসবও। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাদামাটাভাবেই ঘরে বসে ঈদ কাটছে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের।
মালয়েশিয়ায় লকডাউনের শিথিলতা থাকলেও জনসমাগম করে ঈদের জামাতের অনুমতি মেলেনি সরকারের পক্ষ থেকে। কিছু মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে, তাও ৩০ জনের বেশি জমায়েত হতে পারেননি। ফলে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠেনি মসজিদের চারপাশ।
মালয়েশিয়ায় একরকম ঈদের জামাত ও জামাত পরবর্তী কোলাকুলি ছাড়াই নিষ্প্রাণ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন সেদেশের নাগরিক ও প্রবাসীরা। এ ছাড়া নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত পশু কোরবানিতে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার।
করোনা মহামারি সংকট ও পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিক দুর্দশার শিকার হয়েছেন। অর্থনৈতিক সংকটে তারা চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন। চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। অনিশ্চিত সময়ে ঘুরে আসা চিরচেনা ঈদের আবহে তারা ছন্দ মেলাতে পারছেন না।
প্রতি বছরের মতো এবার পরিবারের জন্য দেশে টাকাও পাঠাতে পারেননি অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রিয় পরিবারকে ঈদের টাকা না পাঠাতে পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এদিকে বরাবরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রবাসী বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ সকলকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম। তিনি দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
হাইকমিশনার বলেন, এই মহাদুর্যোগের সময়ে যে কঠোর জীবন-যাপন পদ্ধতি চলছে এর মধ্যেও ধর্মপ্রাণ প্রবাসীরা নিয়মকানুন পালন করে ঈদ উদযাপন করছেন।
তিনি বলেন, এখন এক কঠোর ও অস্বাভাবিক সময় অতিক্রম করছে গোটাবিশ্ব। এমন খারাপ সময় থাকবে না, আমাদের সুদিন আসবেই।
এনএফ/পিআর