সৌদিতে করোনায় প্রাণ হারালেন ৭ বাংলাদেশি চিকিৎসক
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রিয়াদের সিমুছি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারালেন ডা. ফারহানা হক তানিয়া। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ বাংলাদেশি চিকিৎসকসহ প্রায় ৫০০ এর বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ২৩ দিন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকার পর ৩০ জুন মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তানিয়া। তার মৃত্যুর সংবাদে প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ডা. ফারহানা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ইউএসটিসির অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, তানিয়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে পবিত্র ওমরাহ হজ পালনে আসা মক্কা-মদিনা অবস্থানরত হাজিদের টেলিফোন অথবা ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিতেন। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশি রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে গেছেন তিনি। এজন্য প্রবাসীদের মাঝে যথেষ্ট সুনামও রয়েছে। তিন সন্তানের জননী ছিলেন এ চিকিৎসক।
ফারহানা হকের দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদস্থ শিফা আল জাজিরা ক্লিনিকের জেনারেল ফিজিশিয়ান ছিলেন। ২০০৬ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। এছাড়াও আরও দুইজন ডাক্তার শফিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন এর সহধর্মিণী মৃত্যুবরণ করেন।
করোনায় মারা যাওয়া ৬ ডাক্তার হলেন- রিয়াদে ডা. রনক মোহাম্মদ শফি উল্লাহ্, মদিনায় ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, রিয়াদে ডা. মো. আনোয়ার উল হাসান, জেদ্দায় ডা. আবদুর রহিম ও মদিনায় ডা. মোহাম্মদ আফাক হোসেইন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ৪০২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৯৪ হাজার ২২৫ জন। এছাড়া একদিনে মারা গেছেন আরও ৪৯ জন। এ নিয়ে সৌদিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৯৮ জনে। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৯৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৩২ হাজার ৭৬০ জন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত ১ কোটির বেশি। মৃতের সংখ্যা ৮ লাখের বেশি। তবে ৫০ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।
এমআরএম/জেআইএম