লিসবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তিন পর্বের কর্মসূচি
বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন পর্তুগাল যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দূতাবাস দিনব্যাপী তিন পর্বের বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মসূচির শুরুতে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের প্রথম পর্বের সূচনা হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী।
দ্বিতীয় পর্যায়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্মময় জীবন নিয়ে উম্মুক্ত আলোচনা পর্ব এবং বিশেষ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। আগত অতিথিদের কালো ব্যাজ পরানোর মধ্য দিয়ে এ পর্বের সূচনা হয়। রাষ্ট্রদূত এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা পৃথকভাবে দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রমাণ আকৃতির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এরপর ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা, প্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য, সাংবাদিক এবং পর্তুগালের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী-সহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থসমূহ হতে পাঠের মাধ্যমে স্মরণসভা শুরু হয়। এরপরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন এবং বাঙালির অধিকার আদায়ে তাঁর আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তারা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাপনী বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শের উপর গভীর আলোকপাত করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে এ মহান নেতার অবদান বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর গভীর দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একত্রে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শেষ পর্বের কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবাসী লিসবন বায়তুল মোকাররম মসজিদে এক বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ দোয়া মাহফিলে ২০০ এর অধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এসএইচএস/জেআইএম