ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

লন্ডনে কোরবানি হয় বুকিং পদ্ধতিতে

ফিরোজ আহম্মেদ বিপুল | প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৯

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে লন্ডনে পালিত হয়েছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। রোববার (১১ আগস্ট) লন্ডনসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন মসজিদ ও খোলা পার্কে সমবেত হয়ে মুসলমানরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ইস্ট লন্ডন মসজিদ, ব্রিকলেন মসজিদ, মাইলেন্ড পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিকলেন ও ইস্ট লন্ডন মসজিদে সকাল ৮টা থেকে শুরু করে এক ঘণ্টা পরপর বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া ইস্ট লন্ডন মসজিদে একাধিক জামাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

USA

বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ মানে হাট থেকে সাধ্য মতো পছন্দের গরু-ছাগল ক্রয় করা। ঈদের দিন নামাজ শেষে সেই পশু কোরবানি দেয়া। বাংলাদেশের কোরবানির ঈদের এটা চিরায়ত দৃশ্য হলেও লন্ডনে তা সম্ভব নয়।

সেখানে সরকার অনুমোদিত কসাইখানার বাইরে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ। ফলে লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের অন্যান্য শহরগুলোতে হালাল মাংসের দোকানে বুকিংয়ের মাধ্যমে কোরবানির ব্যবস্থা করতে হয়।

USA

ঈদের আগে থেকেই বাঙালি হালাল মাংসের দোকানগুলোতে অগ্রিম টাকা পরিশোধের মাধ্যমে কোরবানির বুকিং নেয়া হয়। ঈদের দিন সরকার অনুমোদিত কসাইখানায় ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী কোরবানি করা হয়। তবে কোরবানির পশুর মাংস ঈদের দিন পাওয়া যায় না। ঈদের একদিন পর কখনবা আরও পরে মাংস ডেলিভারি দেয়া হয়।

লন্ডনে কোরবানি দেয়ার রীতি যেমনই হোক না কেন, বাঙালি মুসলিমরা ঈদের দিন রঙবেরঙের জামা পরে দলবেধে নামাজ আদায় করা, নামাজ শেষে কোলাকুলি, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো, আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের বাসায় দাওয়াত খাওয়ার রীতি ঠিক বাংলাদেশের মতোই চলে। ঈদকে ঘিরে মেতে ওঠেন আনন্দ-উল্লাসে।

আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন