ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

জীবন যুদ্ধে হার না মানা সৈনিকের গল্প

কবির আল মাহমুদ | স্পেন | প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৯

একজন সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার পেছনে একটি গল্প থাকে। এটি তেমনি একটা গল্প। অথবা তারও কিছু বেশি। এই গল্প রূপকথাকে হার মানানো এক অপ্রতিরোধ্য কিশোরের জীবনযুদ্ধে জয়ী হবার গল্প। গ্রামের হিমেল বাতাস গায়ে মেখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে বেড়ে ওঠা কিশোরের নাম আপেল আমিন কাওসার।

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তিনি এক বড় প্রেরণার উৎস। এদেশে যারা এক হাতে, নিজের যোগ্যতাতেই এতদূরে এসেছেন, তাদের অন্যতম হলেন আপেল আমিন কাওসার।

ইউরোপের মাল্টাতে প্রায় ১১ বছর আগে পাড়ি জমান জীবন যুদ্ধে হার না মানা এই সৈনিক। আপেল আমিন কাওসারের দেশের বাড়ি পটুয়াখালী। পটুয়াখালীতে বেড়ে ওঠেছেন আপেল আমিন কাওসার। জীবন খুবই আশ্চর্য ঘটনার সম্মুখীন করে দেয় মানুষকে।

মানুষ তার নিজ ভাগ্য বদলের আসায় কত কিছুই না করছে। কেউ চাকরি, কেউ ব্যবসা, আবার কেউ পরিবার পরিজন ছেড়ে দূর প্রবাস। দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন এভাবেই পরিশ্রম করে যাচ্ছে প্রতিটা মানুষ। এত পরিশ্রমের পরেও কি সবাই সফল হতে পারে? সবশেষে দেখা যায় গুটিকয়েক সফল মুখ। গুটিকয়েক সফল মানুষদের মধ্যে অন্যতম আপেল আমিন কাওসার।

২০১২ সালে সুরুচি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট দিয়েই তার প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। এ ব্যবসায় তার ভাগ্য বদল করে দেয়। যা ২০১৫/২০১৭/, ২০১৮/২০১৯ সালের মধ্যে মাল্টা পুরস্কার পেয়েছেন মাল্টা সরকারি সংগঠন থেকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই রেস্টুরেন্টের।

মাল্টাতে ভালোই নাম ডাক রেস্টুরেন্টটির। ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত। অনেক ইচ্ছা দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। তিনি মাল্টাতে বাংলাদেশি একটা কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৭ সালে। কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করা। মাল্টাতে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনেও তার অনেক অবদান রয়েছে।

তিনি মাল্টা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। মাল্টাতে বাংলাদেশিদের সেবামূলক কাজে সবসময় তিনি নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। মাল্টা তথা বাংলাদেশেও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম এ অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি সর্বদা ব্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চান এটাই তার ইচ্ছা।

পটুয়াখালীর কৃতি সন্তান মাল্টা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল আমিন কাওসার বলেন, ‘নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বিশাল এ প্রকল্প হাতে নেয়ার ঘটনা অনেক দেশ ও সংস্থার সন্দেহ ও বিস্ময় প্রকাশ করলেও সে স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান।’

‘এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসহ আরও কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের প্রথম ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার কাজে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতায় বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও গোষ্ঠীর চাপ সত্ত্বেও শীর্ষস্থানীয় অপরাধীদের বিচার শেষে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এই বিচার করতে পারা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য। প্রবাসীদের এক কাতারে নিয়ে আসার মাধ্যমে এবং দেশে সঠিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সামিল হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে কতটা উন্নয়ন হচ্ছে তা দেশের মানুষই জানে। প্রবাসীসহ দেশের সকল মানুষকে নিয়ে আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য এক কাতারে দাঁড়াতে চাই।

এমআরএম/পিআর

আরও পড়ুন