জার্মানিতে এবার ৫০০ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছর। কিন্তু এখনও জার্মানির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যুদ্ধের নানা চিহ্ন। প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবিস্ফোরিত বিশাল আকৃতির বোমা। অতঙ্কিত হতে শোনা যায় জনসাধারণকে।
এবার জার্মানির-ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সদর দফতরের কাছে বিশাল আকৃতির একটি বোমার খোঁজ পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিক্ষিপ্ত অবিস্ফোরিত এ বোমাটির ওজন পাঁচশ কেজি। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সদর দফতরে কর্মরত সব কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আশপাশে বসবাসকারী প্রায় ১৬ হাজার বাসিন্দাকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংলগ্ন এলাকা মাইন নদীর তীর এবং সেন্ট্রাল ফ্রাঙ্কফুর্টের সব ট্রেন ও বাস স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং জনসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এ ছাড়াও মাত্র এক সপ্তাহ আগে পূর্ব জার্মানিতে প্রাপ্ত বিশাল আকৃতির বোমা কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গত মাসে রাজধানী বার্লিনে আলেক্সজান্দার প্লাটজে একশ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া গিয়েছিল এবং প্রায় তিন হাজার বাসিন্দাকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
এর আগে ২০১৭ জার্মানির-ফ্রাঙ্কফুর্টে বিশাল আকৃতির একটি বোমার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। ওই বোমাটির ওজন ছিল ১৪০০ টন বা প্রায় ১৩ লাখ কিলোগ্রাম। গোয়েথে ইউনিভার্সিটি ফ্রাঙ্কফুর্টের ভেস্টেন্ড ক্যাম্পাসের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে এ বিশাল আকৃতির বোমাটি পাওয়া গিয়েছিল।
স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানিয়েছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমাটি ফেলেছিল ব্রিটিশ বিমান বাহিনী। কিন্তু তা বিস্ফোরিত হয়নি। ঝুঁকি এড়াতে সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে সেবার নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছিল প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিক্ষিপ্ত প্রায় মিলিয়ন বোমার ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ছিল, যা এখনও বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়।
এনডিএস/এমএস