ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যমেলা ১১ জুলাই

আহমাদুল কবির | প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ০৬ জুলাই ২০১৯

বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ আর্কষণে আগামী ১১ জুলাই কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশি পণ্যমেলা। শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবাল নামে এ মেলায় দিনব্যাপী ৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন ও সেবা দেবে।

উভয় দেশের দূতাবাসের সহায়তায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এ মেলার আয়োজন করছে। ৪র্থ শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন রফতানি বাজার খুঁজে পেতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সময়োপযোগী এ উদ্যোগ বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশকে আরও প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। বাংলাদেশি বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সেক্টরের পেশাজীবীরা এতে অংশ নেবেন।

আয়োজকরা বলছেন, শোকেস বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্যের রফতানির সুযোগ তৈরি করাই টার্গেট থাকবে বাংলাদেশের। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে ফোকাস করা হবে।

১১ জুলাই অনুষ্ঠেয় শোকেস বাংলাদেশে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী ছাড়াও পুরো বাংলাদেশেরই শোকেস করা হবে। তুলে ধরা হবে নতুন ফোকাস।

মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ওয়াইভি দাতুক ইগনাতিয়াস ডারেল লিকিং মেলার উদ্ধোধন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী টিপু মনশি, প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এমরান আহমদ, হাই-কমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফাজি ফাহিম ও বিএমসিসিআইয়ের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।

এদিকে শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবালকে সফল করার লক্ষ্যে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনফারেন্স হলে হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. রাজিবুল আহসান, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর জলিল, সহ-সভাপতি রাকিব মোহাম্মদ ফাকরুল, অ্যাসোসিয়েটেড চায়নিজ চেম্বারর্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব মালয়েশিয়ার (এসিসিসিআইএম) অ্যাক্রিকিউটিভ অ্যাডভাইজার তানশ্রী দাতু সংসিউ হং, অ্যাক্রপার্টিজ রিসোর্স অ্যাসোসিয়েশন এরার ট্রেজারার তান কেক হং, মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ অ্যাসোসিয়েশনের (এমএএসএসএ) এ্যাক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এনজি সো ফানসহ মালয়েশিয়া রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এ ছাড়া ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানোফ্যাক্চারার্স, ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স, প্রাণ ফুডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবাল নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যকার মুক্তবাণিজ্য (এফটিএ) স্বাক্ষরের পথ প্রশস্ত হবে। বর্তমানে ৯৩টি বাংলাদেশি পণ্য মালয়েশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। মালয়েশিয়া ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর করলে সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশই বাংলাদেশকে এ ধরনের সুবিধা প্রদান করছে। মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পাট-পাটজাত পণ্য, মসলা, চামড়া- চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, আলু, শাক-সবজি, সিরামিক টেবিল ওয়্যার, হিমায়িত মাছ, তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, টেক্সটাইল ও হালাল খাদ্যপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

‘বাণিজ্য সুবিধার কারণে চীনের বাজারেও বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র ও ব্যবসায়িক পার্টনার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। দেশটি বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বড় বাজার। মালয়েশিয়ার প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলার। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে’, বলেন হাই-কমিশনার।

বিএমসিসিআইয়ের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তা হলো- (১) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের পরিচয় করিয়ে দেয়া। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাংকিং ও বীমা সেবা, তৈরি পোশাক, বস্ত্র, পাট ও পাটজাত পণ্য, টেলিকম সেবা, পর্যটন, হিমায়িত খাদ্য, চামড়াজাত পণ্য, খাদ্য, ওষুধ, হারবাল এবং আয়ুর্বেদিক পণ্য, সিরামিকস, কসমেটিকস এবং হ্যান্ডিক্রাপ্ট। (২) পাশাপাশি মালয়েশিয়ার যেসব দুর্বল প্রতিষ্ঠান ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ার স্থানান্তরিত হচ্ছে, এগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করা।

তিনি আরও বলেন, আয়োজিত মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ গুরুত্ব, সুযোগ-সুবিধা এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে। এ ছাড়াও মেলায় সহযোগিতা করছে বাংলাদেশের মালয়েশিয়ান হাইকমিশন, মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ অ্যাসোসিয়েশন এবং মালয়েশিয়া এক্রটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।

জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন