আশিকাগাতে বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী
আশিকাগাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ পুনর্মিলনী। সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গত রোববার (২৩ জুন) স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটি (কিতা কানতো) ‘ঈদ আয়োজন’ নামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন সুইয়ামা লুবনা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুইয়ামা লুবনা, নোমান সৈয়দ ও গোলাম মোস্তফা।
অনুষ্ঠানে আশিকাগা ও এর আশপাশের বিভিন্ন শহরের প্রায় ২৫০ জন বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। রঙ-বেরঙের নতুন শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে সবাই ঈদের আমেজে যোগ দেন অনুষ্ঠানে।
আরিয়ানের পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এর পর অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ‘রঙ তুলি পর্ব’। সুন্দর ছবি আঁকার জন্য আয়ান, মিমনুন, ফৌজি, আরোহা, নাবা ও সোহানের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন শান্তা, বন্যা, সুমনা, সাথি ও নওশী। আর তাদের হাতে বিশেষ পুরুস্কার তুলে দেন জাপানে বাংলাদেশ কমিউনিটির পরিচিত মুখ লেখক-সাংবাদিক কাজী ইনসানুল হক।
এরপর জাপানের জনপ্রিয় পাপুরিকা গান পরিবেশন করেন সুহান। এর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন জেসিন, তিরানা, রুজাইনা, লাইবা, আরোহা ও নাবা।
২য় পর্ব মধ্যাহ্ন ভোজনে ছিল নিজেদের হাতে তৈরি বিফ ভুনা, রোস্ট, চিকেন কোর্মা, কাবাব, চাইনিজ ভেজিটেবল, সালাদ ও পোলাওসহ বিভিন্ন মজাদার খাবার।
এর পর রেইন করিমের গানের মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় আরও গান পরিবেশন করেন নাঈম, বন্যা, নওশী, মোস্তফা ও সুমনা-সোহাগ জুটি। ঈদের রেসেপি নিয়ে হাঁসির নাটকে অভিনয় করেন বন্যা, সুমনা ও সোহাগ। ‘সেই গল্পটা’ কবিতা আবৃতি করেন ইরা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল নৃত্য শিল্পী পুজা ও নাবার নাচ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির (কিতা কানতো) পক্ষ হতে শিশু শিল্পী আজরিন কারিমা নাবাকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়। তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন কাজী ইনসানুল হক ও দিদার কচি।
বিকেলের নাস্তায় ছিল নিজেদের হাতের তৈরি সিঙ্গারা, কেক, পুডিং, সেমাই, পায়েস, কাঁচাগোল্লা ও কালোজাম। আরও ছিল আসাধারণ মজাদার লাচ্ছি।
খাবার পরিবেশন ও অন্যান্য কাজে সহযোহিতা করেন আলম, মিন্টু, মিলন, সাজ্জাদ, ইমন, মিজান, ফরহাদ, শাহাদাৎ, তাহের, বাবুল ও রাজা।
এর পর কনসার্টে গান পরিবেশন করেন জাপানের একমাত্র বাংলা ব্যান্ড দল ঝিঁঝিঁ পোকার সদস্যরা। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী তাদের মনমুগ্ধকর গান উপস্থিত অতিথিরা মন ভরে উপভোগ করেন।
কনসার্ট শেষ হয় জাতীয় সঙ্গীতের জ্যামিংয়ের মাধ্যমে। এই সময় উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানান।
সব শেষে ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। এতে পুরস্কার জিতে নেন ঊর্মি, রিনি, শওকত, রায়েদ ও লুবনা।
এমএমজেড/এমকেএইচ