হার মানলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা রতন
পরিবারের ভাগ্য বদলাতে প্রবাসে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। হঠাৎ শামিল হচ্ছেন মৃত্যুর মিছিলে। দিন দিন এ সংখ্যা যেন বেড়ে চলেছে মালয়েশিয়ায়।
সংসারের সুখের আশায় ২০১৮ সালের মে মাসে জিটুজি প্লাস কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসেন রেমিট্যান্সযোদ্ধা রতন মিয়া (৩৫)। কিন্তু স্বপ্ন তার স্বপ্নই থেকে যায়। স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) কুয়ালালামপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
রতন মিয়া নরসিংদীর নারায়ণপুর বেলাবু গ্রামের মজলু মিয়ার ছেলে। ২০১৮ সালে কলিং ভিসায় আসার পর মেডিকেলে আনফিট হওয়ায় কোম্পানির ভিসা করাতে পারেননি। কোম্পানি থেকে তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তিনি কোম্পানি থেকে চলে আসেন। কারণ ধার-দেনা করে স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় আসা। এখানে এসে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবেন- এমনই ইচ্ছা ছিল তার।
অসুস্থ হয়েও ইচ্ছাশক্তির জোরে অন্যত্র কাজ চালিয়ে যান। একপর্যায়ে সেখানে হার্ট অ্যাটাক হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব মালয়েশিয়ার সভাপতি মনির বিন আমজাদের আর্থিক সহায়তায় এবং ভৈরবের মনিরুজ্জামান ও নসসিংদীর মোক্তার মিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় গত ২১ মে সারডাং হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন রতন মিয়া। গত ২ জুন উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করেন তিনি। ৫ জুন তাকে কুয়ালালামপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। মঙ্গলবার (১১ জুন) চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এ রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
রতনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। দেশে স্ত্রীসহ চার বছরের এক ছেলে ও আড়াই বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে তার।
এমএআর/পিআর