ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

ইউরোপে ১০ লাখ বাংলাদেশির রোজা কাল থেকে

মিরন নাজমুল | প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ০৫ মে ২০১৯

মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান ইউরোপে শুরু হচ্ছে ৬ মে থেকে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ লাখ, ইতালিতে ২ লাখ, স্পেনে প্রায় ৩০ হাজার, ফ্রান্সে ২৫ হাজার বাংলাদেশিসহ পুরো ইউরোপজুড়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি রমজান পালন করবে।

ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতে মুসলমান সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তৈরি হওয়া মসজিদে তারাবির নামাজ থেকে শুরু করে ইফতার অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় বিষয়গুলো প্রায় নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে।

roja

তবে কর্মস্থলে রমজান মাসের জন্য বিশেষ রুটিন না থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা ইফতার বা সেহেরির সময় কাজের মধ্যে থাকে তাদের জন্য রোজা পালনে সমস্যা হয়।

এজন্য অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি আবার প্রতি বছরের এক মাসের ছুটি হিসেবে রোজার মাসকে নির্ধারণ করে নেয় এবং পরিবার নিয়ে একটি মাস রোজাব্রত ও ঈদুল ফিতর পালন করে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটা বড় সংখ্যা ইউরোপে রোজাব্রত পালন করার কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে এই মাসকে ঘিরে কৌতুহল থাকে খোদ ইউরোপিয়ানদেরও। তাই অভিবাসীদের মধ্যে যারা রোজা পালন করে, তাদের কাছে জানার চেষ্টা করেন রোজার নিয়ম-কানুন, রোজার শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে।

roja

এ বছরে দিনের অংশ বড় হবে এবং গরম থাকবে। যারা কর্মস্থলে শক্ত কাজ করেন, তাদের জন্য রোজা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে না বলে মনে করছেন অনেকে। স্পেনের বার্সেলোনায় থাকেন চাঁদপুরের আমিনুল হক। তাকে রমজানের প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘আমি একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করি প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা। আমার ইফতারে সময় কাজ থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া পরিশ্রমের কাজ করায় প্রচুর ঘেমে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হয়তো শুধু ছুটির দিনগুলোতেই রোজা রাখতে পারব। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিই হচ্ছেন।’

roja

দিনের অংশের তারতম্যের কারণে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়ার মুসলমানকে সবচেয়ে বেশি দীর্ঘসময় ২০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে রোজা রাখতে হবে। এ ছাড়া আইসল্যান্ডে ১৯ ঘণ্টা, সুইডেনের লুলেয়াতে ১৯ ঘণ্টা, নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ডে ১৮ ঘণ্টা, ইউকেসহ জার্মানির বার্লিনে ১৮ ঘণ্টা, ফ্রান্সের প্যারিসে ১৭ ঘণ্টা, ইতালিসহ স্পেনে ১৬ ঘণ্টা সময় রোজা পালন করতে হবে।

বাংলাদেশিসহ মুসলিম কমিউনিটি অধ্যুসিত ইউরোপের শহরগুলোতে রোজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিসহ এ হালাল রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য আগে থেকেই বুকিং শুরু হয়ে যায়। বাংলাদেশি সংগঠনগুলোর আয়োজনে প্রতিদিনই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপে ছড়িয়ে থাকা মসজিদগুলোতে আদায় করা হয় তারাবির নামাজসহ ইসলামী বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন