দেশে ফেরার আকুতি
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর পশ্চিম মাতুয়াইলের আলমগীর হোসেন (৪৯)। কিন্তু কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে ভাগ্যের কাছে হেরে বর্তমানে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। যাকে পাচ্ছেন তাকেই দেশে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন।
আলমগীর হোসেন এখন কুয়ালালামপুর হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসারত। তিনি পোর্ট ক্লাং এলাকায় একটি কনস্ট্রাকশন সাইডে কাজ করা অবস্থায় ডান পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পান। পরে সেখানে ইনফেকশন দেখা দেয়। ডায়াবেটিস থাকার কারণে পরবর্তীতে তিনটি আঙ্গুলসহ উপরের অংশে পচন ধরে। অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, জরুরিভিত্তিতে তার পচন ধরা অংশ কেটে বাদ দিতে হবে। নইলে পুরো পায়ে পচন ধরবে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মৃত্যুও হতে পারে।
গত ২ মে কুয়ালালামপুর হাসপাতালে অপারেশন করে পায়ের তিনটি আঙ্গুল কেটে ফেলা দেয়া হলেও পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করেননি আলমগীর হোসেন। চিকিৎসকরা জানান, এরপরে ইনফেকশন ভালো না হলে পুরো পা কেটে ফেলতে হবে অথবা তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
তার চিকিৎসা ও দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় সঞ্চিত সব অর্থ খরচ হয়ে গেছে।
২০১৫ সালে ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসে অবৈধ হয়ে পড়েন আলমগীর হোসেন। বৈধ হওয়ার জন্য রি-হায়ারিং প্রোগ্রামের মাই-ইজি ভেন্ডরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে সাত হাজার রিংগিত জমা দিয়েছিলেন এক বাংলাদেশি দালালের কাছে। কিন্তু ওই দালাল ভিসা না দিয়ে প্রতারণা করেন।
একদিকে চিকিৎসা, অন্যদিকে চিকিৎসা না করিয়েই দেশে ফেরা- কোনোটাই সম্ভব হচ্ছে না অর্থ সংকটের কারণে। সমাজের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবান প্রবাসীদের কাছে আলমগীর হোসেন তাই আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন- সাংবাদিক আশরাফুল মামুন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া। মোবাইল নম্বর- ০০৬০১১২৮২০৪৩৬৭।
শিরিন আক্তার, ঢাকা, বাংলাদেশ। বিকাশ নম্বর- ০১৭১৭১৬৬৬৭২।
এমএআর/এমএস