ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

হাউস অব লডর্সে আইএমসির বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ০১ মে ২০১৯

বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ১ মে ব্রিটেনের আইনসভার উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছে লন্ডনে সাংবাদিকদের নবগঠিত সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া ক্লাব (আইএমসি)।

হাউস অব লর্ডসের ক্রসবেঞ্চ সদস্য লর্ড ইমস অনুষ্ঠানটি হোস্ট করছেন।

এই গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন আইএমসি সভাপতি ও বিবিসি বাংলার ঊর্ধ্বতন প্রযোজক মাসুদ হাসান খান, বিবিসি বাংলার সম্পাদক সাবির মুস্তাফা, চ্যানেল ফোর নিউজের ফ্রিল্যান্স প্রযোজক বেকি হর্সব্রো, তুরস্কের টিআরটি ওয়ার্ল্ডের সাংবাদিক শামীম আরা চৌধুরী, বাংলাদেশের একাত্তর টিভির সংবাদ প্রধান শাকিল আহমেদ, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার প্রেস আশেকুন নবী চৌধুরী, বিবিসি নিউজের সাংবাদিক মাহফুজ সাদিক, সাপ্তাহিক জনমতের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা, রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও পরামর্শক রোহেমা মিয়া, চ্যানেল-আই বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন স্টাফ করেসপনডেন্ট মসরুর আলাহে, ব্রডকাস্ট সাংবাদিক ও গবেষক বুলবুল হাসান এবং লন্ডনে চ্যানেল এস টিভির কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর একাত্তর টেলিভিশনের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি এডিটর তানভীর আহমেদ।

এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বহু পেশাদার সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা এবং সমাজের নানা স্তরের গুণীজন এই আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

অনুষ্ঠানের হোস্ট লর্ড ইমস বলেন, ‘স্বাধীন গণমাধ্যম আজ গণতন্ত্রের প্রতীক। এই উপলক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের আমি স্বাগত জানাই। বিশ্বের নানা দেশে জবাবদিহিতা নেই এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বাকস্বাধীনতা ও সত্য প্রকাশে বাধা দান করে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। আমার নিজের দেশেই সম্প্রতি ২৯ বছর বয়সী এক রিপোর্টারের মৃত্যু সাংবাদিকদের ঝুঁকির কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও সত্য প্রকাশ করে যে সংবাদ তা তরবারির চেয়েও ধারালো। বাদবাকি সব ব্যর্থ হলেও শুধু সেটাই কার্যকর থাকে।’

ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি মাসুদ হাসান খান বলেন, ‘সাংবাদিকতা এখন এক বিপদজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বে সাংবাদিকরা এমন কিছু ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছেন যা অভূতপূর্ব। যেমন- ভুয়া খবর, সাইবার হামলা, সেন্সরশিপ এবং সহিংসতা। সাংবাদিক হিসেবে আমাদের পেশাদারি সততা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আমরা কীভাবে সমুন্নত রাখতে পারি তা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও আলোচনা শুরু করার এটাই উপযুক্ত সময়।’

ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া ক্লাবের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস ২০১৯ উদযাপন প্রকল্প সমন্বয়ক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমার যে ডিজিটাল মিডিয়ার নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছি তা এখন সুস্পষ্ট। এটা নাগরিক সাংবাদিকদের অনেক বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু নতুন এই মিডিয়া কি ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে? সোশাল মিডিয়া যদি বাকস্বাধীনতা বাহনই হবে, তাহলে আজও কেন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দেশে দেশে আলোচনার বিষয়বস্তু? ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাসাদে আমরা এই বিষয়গুলোর ওপর সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষকদের মতামত শুনব বলে আশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া ক্লাব আয়োজিত এই আলোচনা সভায় দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল মিডিয়ার সম্ভাবনা এবং নতুন এই মাধ্যমের কারণে যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে যে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে। পাশাপাশি বহুমুখিতা এবং সাম্যতা বৃদ্ধি করে কীভাবে সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে।

এমবিআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন