ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

সূর্য উদয়ের দেশে একখণ্ড বাংলাদেশ

ফখরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ পহেলা বৈশাখ। প্রতি বছর জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে পালিত হয়ে থাকে বৈশাখী মেলা।এ উপলক্ষে ইকেবুকুরুর সানশাইন সিটি পার্কটি প্রবাসী বাঙালিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। যা দেখলে মনে হয় যেন সূর্য উদয়ের দেশে একখণ্ড বাংলাদেশ।

প্রাণের মেলা টোকিও বৈশাখী মেলায় প্রবাসীদের ঢল নেমেছিল। প্রবাসীদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক জাপানিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও বাংলা নববর্ষের আয়োজনে মেতে উঠেন।

japan

২০ বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে বৈশাখী মেলা উদযাপিত হয়ে আসছে, এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এটা শুধু জাপানে বসবাসরত বাঙালিদের মিলনমেলাই নয়, এই মেলার জন্য অধীর আগ্রহে থাকে জাপানিরাও।

বাংলাদেশ দূতাবাস, তোশিমা-কোসহ জাপানে বসবাসরত ব্যবসায়ীরা সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন বরাবরের মতোই। তরুণ ছেলেদের পাঞ্জাবীর সাজ, বাঙালি ললনাদের শাড়ীর ভাজ, ক্ষণিকের জন্য থমকে গিয়েছিল। সাইন সাইন সিটির কোলাহল জাপানিদের তৈরি বাংলা গানের ব্যান্ড দল বাজনা বিট গান পরিবেশন করে মাতিয়ে তোলে শ্রোতাদের।

japan

ঢাক নিহোন তাইকো বাজিয়ে শোনায় জাপানিরা। জাপান প্রবাসী সংগঠন স্বরলিপি ও উত্তরণ বাঙালি ঘরানার গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তাদের পরিচয় তুলে ধরেন।

মেলার মূল আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী আশিক ও রেশমী, তাদের সঙ্গে মিউজিকে ছিল রাসেল, সৌরভ, সালমান। মেলায় বাঙালি খাবারের পসরা বসেছিল জমকালো করে। জাপানিজ এবং ভিন-দেশিদের কাছে নতুন ছিল বাংলা খাবার দাবার।

japan

জাপানে বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি বাদল চাকলাদার, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপানের সেক্রেটারি ব্যবসায়ী নাসিরুল হাকিম, সালেহ মোহাম্মদ আরিফ, আছলাম হিরা, এম ডি আলাউদ্দিন খান আলামিন, রেজা মীর, জয় ইসলামসহ কমিউনিটির সবাই বিদেশি এবং দেশি অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করেন।

japan

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন তানিয়া মিথুন ও জুয়েল আহসান কামরুল। সন্ধ্যা ৬টায় জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং ২১তম বৈশাখী মেলার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন