কুয়েতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
কুয়েতের খালেদিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হল রুমে এ দিবস উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জান উপস্থাপনা করেন ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম সভাপতিত্ব করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।
এ দিবসে প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসের ওপর আলোচনা সভায় কুয়েতের কমিউনিটির নেতারা বক্তব্য দেন। রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ইতিহাস সুদীর্ঘ, ঘটনাবহুল, মর্মান্তিক অবিস্মরণীয় অনেকে এই ইতিহাসকে বিকৃত করা চেষ্টা করেছিল সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার কারণে দেশে নতুন প্রজন্মরা স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে।’
এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারাসহ কুয়েতের বিভিন্ন পেশার কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল। জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন।
ওই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। মুজিবনগরে ১২ জন আনসার সদস্য বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
এমআরএম/এমএস