সড়ক দুর্ঘটনা : নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম
মালয়েশিয়ার কুয়ালালমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ বাংলাদেশির মধ্যে ২ জনের বাড়িই চাঁদপুরে। এর মধ্যে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের বসির মেম্বারের বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সোহেল (২৪) ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামের মাওলানা আমির হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৫)।
তারা দু’জনেই ৭ মাস আগে কোম্পানির ভিসায় জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া যান। ফরিদগঞ্জের নিহত আল আমিন তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। মাত্র ৭ মাস আগে পাশের বাড়ির মিলন গাজীর ছেলে রাসেলের সঙ্গে আল আমিন জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান।
অপর দিকে হাজীগঞ্জের দেবীপুর গ্রামের মো. সোহেল ১ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। সেও মাত্র ৭ মাস আগে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমান।
৭ এপ্রিল রোববার রাতে দুর্ঘটনার পর সোমবার আল আমিন ও সোহেলের বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছে। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আশপাশের প্রতিবেশিরা তাদের সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসেন। পুরো এলাকায় শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের কাছের একটি সড়কে বাংলাদেশিসহ আরও কয়েকটি দেশের শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাবার পথে বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় ৫ বাংলাদেশিসহ ১১ জন নিহত হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়।
মালয়েশিয়া কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাউসার হামিদ হান্নান জানান, আমরা মৃত ২ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। এ ঘটনায় আরও কয়েজন বাংলাদেশি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে মহিন (২৬) নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইকরাম চৌধুরী/এমআরএম/এমএস