ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড টোকিওতে অংশ নিয়েছে ১৩ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান
টোকিওতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ‘ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড টোকিও- ২০১৯’। এতে অংশ নিয়েছে ১৩টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। মেলা চলবে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
এদিন বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন।
টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো মেলায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের ১৩টি তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের আধুনিক ও রুচিসম্মত পণ্য মেলায় প্রদর্শন করছে।
আরও পড়ুন >> ‘জাপানি বিনিয়োগ উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে’
মেলাটি বাংলাদেশ-জাপানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধাররা।
জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে মেলার সেমিনার ভেন্যুতে ‘জাপানের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো), ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইউনিডো), জাপান ও টোকিও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন এবং জাপান টেক্সটাইল ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। দেশটির প্রায় ১৩০ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সেমিনারে যোগ দেয়।
সেমিনারে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা স্বাগত বক্তব্য দেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশেষ করে নিটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত যত্নসহকারে জাপানের জন্য পণ্য তৈরি করছে এবং নিটওয়্যার জাপানের এক নম্বর রফতানি পণ্য হওয়ায় বাংলাদেশ গর্ববোধ করে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে জাপানে বাংলাদেশি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ যা জাপানের বাজারে সর্বোচ্চ এবং এশিয়ার মধ্যে জাপান আমাদের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম প্রধান বাজার।
এ মেলা জাপানে উন্নতমানের বাংলাদেশি পণ্য সম্প্রসারণ এবং জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন জাপানের ইকোনমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ইয়াসুজিরো মিয়াকে, ইউনিডো’র শিল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা ইকুয়ে তোশিনাগা, মারুহিসা কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মাসাহিরো হিরাইশি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে বাণিজ্যিক কাউন্সেলর মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
আলোচকগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ, বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাসমূহ এবং জাপানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান জানান।
প্রশ্ন-উত্তর ও বিজনেস নেটওয়ার্কিং পর্বের মাধ্যমে সেমিনার সমাপ্ত হয়।
এমএআর/পিআর