জাপানে ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
যথাযথ মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৪৯তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবসের প্রথমভাগে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। পরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশের ৪৯তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাপানের স্থানীয় পত্রিকায় দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে এদিন দুপুরে টোকিওর একটি স্থানীয় হোটেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. তোশিকো আবে, জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের মহাসচিব ও জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, যোগাযোগ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইচিরো সুকুদা, ডেপুটি চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিক-২০২০ সংক্রান্ত মন্ত্রী ইয়োশিতাকে সাকুরাদা এবং জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মিনোরু কিউচি।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জাপানের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য, জাপানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, জাপানের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভায়োলিনের সূরে জাপান ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
রাষ্ট্রদূত তার শুভেচ্ছা বক্তব্য়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাপানের সম্রাট আকিহিতো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার জন্য জাপান সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারা ও বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা উল্লেখ করে জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ হিসাবে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প- ২০৪১’ কে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন মডেল হিসাবে আখ্যায়িত করেন রাষ্ট্রদূত।
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. তোশিকো আবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে আন্তরিক মোবারাকবাদ ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি তার বক্তব্যে জাপান-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং রোহিঙ্গা সমস্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য ভূমিকা ও নেতৃত্বের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন, দুই দেশের পারস্পারিক সম্পর্ক দিনে দিনে আরও দৃঢ় হবে।
জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের সভাপতি ইচিরো সুকুদা দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তারো আসোর শুভেচ্ছা বানী পাঠ করে শোনান।
আগত অতিথিদের বাংলাদেশি বিভিন্ন রকমের উপহার প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
এমবিআর/এমএস