বেতন বাকি : কুয়েত প্রবাসীর ছাদ থেকে লাফ
কুয়েতের জেলিব আল সুয়েক হাসাবিয়া এলাকার ৬ নম্বর রোডের তিন নম্বর ব্লকের ৩ তলা বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টায় মারাত্মক জখম হয়েছে এক বাংলাদেশি। বুধবার ময়মনসিংহের মোহাম্মদ ঈসমাইল কোম্পানির ব্র্যাকে আত্মহত্যার চেষ্টাকালে জখম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসমাইল আল-আহলিয়া ক্লিনিং কোম্পানিতে কাজ করত। চারমাস ধরে কোম্পানিতে কারো বেতন দিচ্ছে না। নিয়মিত বেতন না পাওয়ায় ইসমাইল হতাশাগ্রস্ত হতে থাকেন। এরপর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, এত দীর্ঘ সময় বেতন না পাওয়ায় ইসমাইলের পরিবারের সবাই টেনশন করত। আত্মীয়-স্বজন ও দেশ থেকে ঋণ নিয়ে তিনি কুয়েতে পাড়ি জমান। পাওনাদাররা ইসমাইলকে ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করত। পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দেশটির স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।
বর্তমানে ফওয়ানিয়া হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছে, ইসমাইল হোসেনের হাত-পা ও মাজা ভেঙে গেছে। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মানবাধিকার কর্মী নুর আলম বাশার বলেন, ‘বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ৭ লাখ টাকা খরচ করে পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ গিয়েও বাংলাদেশিরা শান্তি পাচ্ছে না। কোনোভাবে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকার বেতনে চাকরি হলে নিয়মিত বেতন হয় না। এ ছাড়া থাকা খাওয়ার কষ্ট, আকামা সমস্যা, পারিবারিক অশান্তি এসব মিলে এই রকম আত্মহত্যার মতো ভুল সিন্ধান্ত নিচ্ছে।’
তিনি দূতাবাসের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোম্পানির শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন ভাতা, আকামা সমস্যা দেখার অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে কোম্পানির সঙ্গে আলাপ করে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। দূতাবাসের একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে যেন শ্রমিকরা তাদের সমস্যার ব্যাপারে জানাতে পারে।
এমআরএম/পিআর