ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

মালয়েশিয়ায় প্রফেশনাল ভিসার নতুন নিয়ম কার্যকর

আহমাদুল কবির | মালয়েশিয়া | প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৯

মালয়েশিয়ায় প্রফেশনাল ভিসায় কাজ করতে আসা কর্মীদের সর্বোচ্চ ১২ মাস অর্থাৎ ১ বছরের জন্য ভিসা দেয়া হবে। এরপর কোম্পানি ইচ্ছা করলে কর্মীর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করতে পারবে। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় শুক্রবার বিজ্ঞপিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এক্সপাট্রিয়েট সার্ভিস ডিভিশনে অনলাইনের মাধ্যমে এ ভিসার আবেদন করতে হবে। গত ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এ নিয়ম কার্যকর করেছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশি ছাত্রদের ৬ মাসের জন্য ভিসা দেবে এবং ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করবে না। ফুড অ্যান্ড বেভারেজ রেস্টুরেন্ট/ক্যাফে/কনভেনশন সেন্টার ছাত্রদের প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত নয়। এসব শর্ত পূরণ না হলে ভিসা ইস্যু করবে না।

জানা গেছে, প্রফেশনাল ভিজিট পাশের (পিভিপি) নামে বিদেশ থেকে অযোগ্যদের মিথ্যা কাগজপত্র দিয়ে এক্সপার্ট হিসেবে প্রফেশনাল বানিয়ে মালয়েশিয়া প্রেরণ করে। এরা প্রকৃতপক্ষে কোনো কোম্পানির অধীনে থাকে না। নিয়মানুযায়ী আয়কর প্রদান করে না এ কারণে পরের বছর ভিসা বর্ধিত করতে পারে না। ফলে অবৈধ হয়ে যায়।

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন হোটেল/রেস্টুরেন্টে প্রশিক্ষণার্থী ছাত্র হিসেবে ৬ মাসের স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রেরণ করে। ছয় মাস পর এই ভিসা মেয়াদ বৃদ্ধি হয় না। ফলে তারাও অবৈধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে অবৈধ নাগরিকদের পাশাপাশি নানান এজেন্ট ও দালালদের গ্রেফতার করছে।

উল্লেখ্য, পিভিপি এবং প্রশিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসায় প্রেরণের ক্ষেত্রে বিএমইটি বা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি যেমন লাগে না তেমনি হাইকমিশন থেকে সত্যায়নের প্রয়োজনও হয় না।

ফলে কারা কোন ভিসায় কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে তা নির্ণয় করা যায় না। সরকার নির্ধারিত মাইগ্রেশন নিয়মের বাইরে রয়ে গেছে। এ বিষয়ে দেশ ত্যাগের পূর্বে খোঁজ নিয়ে আসার জন্য মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘মিথ্যা পরিচয়ে অযোগ্য লোক প্রেরণের ফলে এরা যেমন প্রতারণার শিকার হচ্ছে, অবৈধ হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির দুর্নাম হচ্ছে।’ বাংলাদেশ সরকারকে আইনের বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন এ কমিউনিটি নেতা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়েবসাইটের এই লিঙ্কে ক্লিক করলে দেখা যাবে এ সকল নামে মালয়েশিয়া সরকার কোনো ভিসায় দেয় না। ভিসাটির প্রকৃত নাম Employment Pass। এখন ইংল্যান্ডের HSMP (Highly Skilled Migrant Programm) বা কানাডার FSWP (Federal Skilled Worker Program) বা আমেরিকার L1AITM (Intercompany Transferee Manager) ভিসাকে কি Work Permit নামে ডাকলে চলবে?

সুযোগ সুবিধা ও নিয়ম-কানুন কি একই হবে? নিশ্চয়ই না। মালয়েশিয়ায় ক্ষেত্রেও তাই। এমনকি DP10 ভিসা নামেও মালয়েশিয়াতে ভিসা প্রদানের কথা বলা হয়, অথচ DP10 হল একটি Application Form, এটি কোনো ভিসায় নয়। Employment Pass বলতে সাধারণভাবে বোঝা যাচ্ছে এটি একটি Pass বা Visa যা দেয়া হয় Employment এর জন্য।

Maleshia2.jpg

কিন্তু কোথায় Employment এর জন্য? যে কোন কোম্পানিতে? কোম্পানিটি কি পুত্রজায়া থেকে গঠিত Sdn Bhd নাকি লাবুয়ান থেকে পরিচালিত International কোম্পানি? উভয়ের Minimum Paid UP Capital কত? বছর শেষে কোম্পানির Share Holder এবং Employee কার Tax কত?

একটি কোম্পানিতে কতজনের Employment Pass পাওয়া যেতে পারে? ‘দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কতিপয় Online News Portal ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ভুল ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করে। আমাদের সবার উচিত মানুষকে সঠিক Information এর জন্য সরকারি Website Address দেখতে অনুপ্রাণিত করা।

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রশন বিষয়ক যাবতীয় সরকারি সংস্থার Website Address এখানে তুলা ধরা হল:
 ওয়েবসাইট ১ওয়েবসাইট ২, ওয়েবসাইট ৩
ওয়েবসাইট ৪, ওয়েবসাইট ৫,  

ওয়েবসাইট ৬,  ওয়েবসাইট ৭, ওয়েবসাইট ৮, ওয়েবসাইট ৯ওয়েবসাইট ১০

এমআরএম/এমএস

আরও পড়ুন