দুবাই কনস্যুলেটে গালফুড প্রদর্শনী
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গবেষণা সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে জনসংখ্যা চাপ সত্ত্বেও দেশ সফলভাবে কৃষি উৎপাদনে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
কৃষি শুধু খাদ্যশস্য সরবরাহকারী নয়, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রফতানিভিত্তিক শিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। গালফুড প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ খাদ্য রফতানিতে আরো এগিয়ে যেতে পারবে বলে জানান বক্তারা।
দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের যাবিল হলে ১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে গালফুড প্রদর্শনী। প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব পেয়ে প্রদর্শনীতে আসেন বাংলাদেশি খাদ্য ব্যবসায়ীরা। আরো ১৩০ কোটি টাকার প্রস্তাবনার আশা রয়েছে বলে জানা যায়। প্রদর্শনী শেষে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাই।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. এ. কে. এম. রফিক আহাম্মদ-এর সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেইন খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইপিবি ডিরেক্টর, বাপার সহ-সভাপতি, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করা ব্যবসায়ীরা ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কর্মকর্তারা।
এ বছর প্রদর্শনীতে অনেক নতুন ব্যবসায়ীরাও অংশগ্রহণ করেন। ৩১৮ স্কয়ার মিটার অঞ্চলজুড়ে ছিল ৪৭টি কোম্পানির স্টল। এ বছরের প্রদর্শনীর সফলতা ও সামনের বছরে কিভাবে আরো ভালোভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা যায়। এ নিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর ফাতেমা জাহান, বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে অধ্যাপক আব্দুস সবুর ও বাংলাদেশ থেকে আসা এলিট, তানভীর ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা বাংলাদেশি কোম্পানির কর্মকর্তারা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) নূর ই মাহবুবা জয়া, প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, বিমানের রিজিওনাল ম্যানেজার দিলীপ কুমার চৌধুরী ও কমিউনিটির অন্যান্য নেতারা।
সামনের বছর প্রদর্শনীতে আরো ভালো করতে ও রফতানি আরো বাড়াতে সবাই একজোট হয়ে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত বিভিন্ন কোম্পানির কর্মকর্তারা।
এমআরএম/পিআর