ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

বার্সেলোনায় একুশ উদযাপন কমিটির আহ্বায়কের ওপর হামলা

মিরন নাজমুল | প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বার্সেলোনায় বাংলাদেশি কমিউনিটির একুশ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ কামরুল হামলার শিকার হয়েছেন। বোরবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তার ওপর এ হামলা হয়। এতে তার ডান হাত ভেঙে গেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশিদের ১০/১২ জনের একটি দল তাকে টানাহেঁচড়া করে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। এতে তার ডানহাত ভেঙে যায় এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। পরে অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মোহাম্মদ কামরুল একুশ উদযাপনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত আলোচনা সভা শেষে রাতে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় ১০/১২ জনের বাংলাদেশি একটি দল তার পথ রোধ করেন এবং তার সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। কামরুলকে চ্যালেঞ্জ করে তারা এ একুশ উদযাপন পরিষদ মানে না বলে জানান। এছাড়া তিনি কেন উদযাপন পরিষদের সভা ডেকেছেন -সেই বিষয়ে কৈফিয়ত চান।

এ সময় কামরুলের হাতে থাকা একুশ উদযাপন পরিষদের প্রস্তুতি সভার সিদ্ধান্ত ও সভার রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেন তারা। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাদেরকে জড়িয়ে ধরেন এবং হাত জোড় করে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানান কামরুল। এছাড়া তিনি মস্তিষ্কের স্নায়ু রোগে আক্রান্ত সেটিও অবগত করেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তার ওপর চড়াও হয়।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে বার্সেলোনায় বাংলাদেশি কমিউটিতে এ হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। হামলার প্রতিবাদে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসেও প্রতিবাদ জানান। এছাড়া কামরুলের ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় কমিউনিটির সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বার্সেলোনায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

কামরুল মোহাম্মদের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘গত ৩ ফেব্রুয়ারি বার্সেলোনার সকল সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সভায় আমাকে একুশে মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমি অসুস্থ্য শরীর নিয়ে একুশ উদযাপনের সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেয়ার জন্য বার্সেলোনা পৌরসভার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মেইল করেছি এবং তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রস্তুতির ঠিক এ চূড়ান্ত পর্যায়ে আমি যেভাবে দুর্বৃত্তদের লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি এতে আমি চরম হতাশ।’

আক্ষেপ ও কান্না জড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি চাইনি, তারপরও সব সংগঠন জোর করে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু এখন মনে হয়, ভালো কাজে এগিয়ে আসাটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি জটিল স্নায়ু রোগে অসুস্থ মানুষ হিসেবে তাদের দ্বারা যেভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে অপদস্থ হয়েছি। তার জন্য আমার মৃত্যুও হতে পারতো।’

হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন