ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ৫৮ শ্রমিক

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রতিদিনই ন্যাশনাল অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং কমিটির অফিসে ভিড় দেখা যায়। অসহায় মুখগুলো তাদের পাচার হওয়া পরিজনদের ছবি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দ্বারস্থ হচ্ছেন। এনএটিসির চেয়ারম্যান শেখ জিন্নার আলি এসব অসহায়দের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় পাচার হওয়া ৫৮ বাঙালি দেশে ফিরেছেন।

শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন তারা। পাসপোর্ট ও ভিসার অমিল থাকায় তাদের জেল দেয় তানজানিয়ার পুলিশ। দিন পনেরো আগেই তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে এনএটিসি। যারা এর আগে ইরান, মালয়েশিয়া, দুবাই থেকে একইভাবে বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে সফল হন।

চার থেকে ছয় মাস। এর মধ্যেই ৫৮ জন বাঙালিকে দেশে ফিরিয়েছেন জিন্নার। ৫৮ জনের মধ্যে-ইরান থেকে ২৫, মালয়েশিয়া থেকে ১৫, তানজানিয়া থেকে ১৩, দুবাই থেকে ১২ বাঙালি দেশে ফিরেছেন। এদের প্রত্যেকের বয়স ২৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

শুক্রবার তানজানিয়া থেকে ১৩ বাঙালি কলকাতায় ফিরেছেন। ১৩ জনের অধিকাংশই নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা।

জিন্নার আলি জানান, পাচার হওয়া বাঙালিদের খোঁজ পাওয়াই ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। ইরানে কাজ করতে যাওয়া বাঙালিদের অনেকেই ভিডিও মেসেজে নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন। যা বিশেষভাবে কাজে লাগায় এনএটিসি। ইরান ও মালয়েশিয়া পরপর দুটি দেশেই পাচার হওয়া বাঙালিরা ভিডিও মেসেজ করেছিলেন।

তিনি জানান, দেশে ফিরে তারা এনএটিসি-র পাশেও দাঁড়িয়েছেন। মালয়েশিয়ায় এখনও আটকে আছে লাখ লাখ বাঙালি যুবক। পাচার হওয়া এই যুবকদের খোঁজ দিতে সাহায্য করছেন ফিরে আসা অমিত, সঞ্জয়রা। যারা দীর্ঘ ৬ মাস মালয়েশিয়ার অজানা গলিতে ক্রীতদাসের জীবন কাটাচ্ছিলেন। মালয়েশিয়ার কোথায় যুবকদের পাচার করা হয়েছে, কারা পাচার করছে, এসব তথ্যই এনএটিসি-কে দিয়ে চলেছেন ফিরে আসা বাঙালিরা।

এদের নিয়েই একটি দলও গড়েছেন জিন্নার। যারা পাচারকারীদের খোঁজ দিচ্ছেন এনএটিসি-কে। জিন্নার জানান, ‘ফিরে আসা যুবকদের নিয়ে একটি সিক্রেট টিম তৈরি করেছে এনএটিসি। লক্ষ্য, এজেন্টদের চক্র থেকে গ্রামের গরিব যুবকদের রক্ষা করা। বিভিন্ন জেলায় নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ঘুরবে এই টিমের সদস্যরা। নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে হাতিয়ার করেই এজেন্টদের রুখবে তারা। তবে, আইন মেনেই। সবরকম সুরক্ষা তারা এনএটিসি-র থেকে পাবেন। স্থানীয় প্রশাসনও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

আপাতত নিজের সিক্রেট টিম নিয়ে ব্যস্ত জিন্নার। চলছে প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন জেলায় বড় চাকরির টোপ দেয়া এজেন্টদের কারবার রমরমিয়ে চলছে। যা নির্মূল না করলে পাচার রোধ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। এবার সেই এজেন্টদের বিরুদ্ধেই মাঠে নামছে এনএটিসি। সঙ্গে থাকছে সিক্রেট টিম।

এমআরএম/এমএস

আরও পড়ুন