ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

পরিচয়পত্র ছিঁড়ে ফেলছে জার্মানির শরণার্থীরা

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, জার্মানিতে আসা বেআইনি শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে পারছে না জার্মান অভিবাসন দফতর। কারণ, পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তারা নিজেদের কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলছে। ফলে শরণার্থীদের দেশে ফেরানো যাচ্ছে না।

গত কয়েক বছরে জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শরণার্থীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। সিরিয়া সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকে শরণার্থীর সংখ্যা আরো বেড়েছে। এই শরণার্থীদের অনেকেই জার্মানিতে ঢুকেছেন বেআইনিভাবে। অনেকেই আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।

কেউ পেয়েছেন, কেউ পাননি। যারা পাননি, তাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেছে জার্মানি। একটি রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ শরণার্থীকেই দেশে ফেরাতে পারছে না জার্মানি। ২০১৭ সালে যে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭১ শতাংশে। অর্থাৎ, ৭১ শতাংশ শরণার্থীকে রিপোর্ট বা দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও পারেনি জার্মানি। সংখ্যার হিসেবে তা প্রায় ৬৫ হাজার। ২০১৬ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৮ হাজার।

প্রশ্ন হলো, কেন বেআইনি শরণার্থীদের দেশে ফেরানো যাচ্ছে না? জার্মান প্রশাসনের দাবি, দেশে ফেরানোর জন্য শরণার্থীদের কাছে যেসব কাগজপত্র থাকা দরকার, অধিকাংশই তা দেখাতে পারেন না। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে সমস্ত কাগজপত্র নষ্ট করে দেন, যাতে কোনোভাবেই তাদের দেশে ফেরানো না যায়। প্রশাসনের বক্তব্য, বহু সময়েই দেশের কাছে কাগজপত্র চেয়ে পাঠালেও তা সময়মতো পাঠানো হয় না।

রিপোর্টের দাবি, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ভারতের বেআইনি শরণার্থীদের নিয়ে। ভারতীয় প্রশাসনের কাছে ওই সমস্ত ব্যক্তির বদলি পাসপোর্ট চাওয়া হলেও তা পাঠাতে বহু সময় ব্যয় করে ভারতীয় প্রশাসন। অনেক ক্ষেত্রে তা পাঠানোই হয় না। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা।সেখানেও পাক অভিবাসন দফতর পাসপোর্ট পাঠাতে বহু সময় নেয়। বহু ক্ষেত্রে বদলি পাসপোর্টের আবেদনের কোনো উত্তরই দেওয়া হয় না।

তবে সবচেয়ে সমস্যা তুর্কিদের নিয়ে। জার্মানিতে বেআইনি তুর্কি শরণার্থীর সংখ্যা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক জার্মানির সঙ্গে। ফলে তুরস্কের কাছে এ ধরনের আবেদন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। তুরস্কের দফতর জার্মানির আবেদনের কার্যত কোনো উত্তরই দিচ্ছে না। আফগানিস্তান এবং রাশিয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের সমস্যা হচ্ছে।

অন্যদিকে ৩৮০০ মানুষের পরিচয়ই জার্মান অভিবাসন দফতরের কাছে স্পষ্ট নয়। তারা যে ঠিক কোন দেশ থেকে এসেছেন, সেটাই বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।

সব মিলিয়ে বেআইনি শরণার্থী নিয়ে প্রবল সমস্যায় জার্মান প্রশাসন। অন্যদিকে, শরণার্থীদের নিয়ে জনমনেও এক ধরনের বিতস্পৃহা তৈরি হয়েছে। যার সুযোগ নিচ্ছে উগ্র দক্ষিণপন্থি দলগুলো। দ্রুত জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের। বেআইনি শরণার্থীদের নিয়ে সরকার নির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ না করলে দক্ষিণপন্থিদের দাপট আরো বাড়বে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। অন্যদিকে শরণার্থীদের প্রবেশ নিয়েও নির্দিষ্ট নীতি তৈরি হওয়া দরকার বলে মনে করছেন অনেকে।

ডিডাব্লিউ/এমআরএম/এমএস

আরও পড়ুন