গ্রেনেড হামলার রায়ে বাঁধভাঙা উল্লাস প্রবাসীদের
গ্রেনেড হামলার রায়ে বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাস করেছে লন্ডনে বাংলাদেশ প্রবাসীরা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঘোষিত রায়ে দেশটির নেতা-কর্মীরা উল্লাসে মেতে উঠেছে।
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল দাশগুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক এম এ গনি বলেন, গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ফাঁসি হলে এই রায়ের যথার্থতা থাকতো। তিনি ইউরোপের সকল দেশের নেতাকর্মীদের অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন।
ইউ.আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন আব্দুল্লাহ বাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক কিবরিয়া, ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়া প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক হাসনাত মিয়াসহ ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মহসিন উদ্দিন খান জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু সাধারণ সম্পাদক শেখ বাদল আহমেদ ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস ফারাজী সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল ফাঁসির দাবি করেন।
এছাড়া বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন মিঠু সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়া স্পেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেন আতা সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম, হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তপন সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রমজান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম।
গ্রীস আওয়ামী লীগের সভাপতি রাকিব মৃধা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুইডেন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সাধারণ সম্পাদক ড. ফরহাদ আলী খান সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল্লাহ আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কিবরিয়া হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন তারেক জিয়ার ফাঁসি দাবি করেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন মারা যান। এই ঘটনায় ২২ আগস্ট মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
ঘটনার ১৪ বছর পর আজ সেই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেয়া হয়েছে। বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
বুধবার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
এমআরএম/জেআইএম